সুব্রত বিশ্বাস: অপরিচিত ব্যক্তিদের থেকে সচেতন হোন – রেলের এই প্রচার সত্ত্বেও সচেতনতা তৈরি হয়নি যাত্রীদের মধ্যে। দেওয়া চা খেয়ে বেহুঁশ যাত্রী। শিয়ালদহ (Sealdah) স্টেশনে ওই বেহুঁশ যাত্রীর কাছে থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতী। শিয়ালদহের দক্ষিণ পোস্টের আরপিএফ (RPF) ও অপরাধ দমন শাখার কর্মীদের তৎপরতায় চারদিন পর দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার কাছ থেকে খোয়া যাওয়া তিরিশ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে আরপিএফ। ধৃত খৈরুল লস্করকে শিয়ালদহ জিআরপির (GRP) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শিয়ালদহ সাউথ পোস্টের আরপিএফ ইন্সপেক্টর অমিতাভ রঞ্জন জানিয়েছেন, গত ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরার জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন কাকদ্বীপ (Kakdwip) অক্ষয়নগরের বিবেকানন্দ শিকদার। তার সঙ্গে এসে পরিচয় জমায় দুষ্কৃতী খৈরুল। এরপর চা খাওয়ার অছিলায় চায়ের মধ্যে তীব্র মাদক ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়। ট্রেনে উঠে বেহুঁশ হয়ে পড়েন বিবেকানন্দ। সেই সুযোগে তাঁর কাছে থাকা সমস্ত কিছু নিয়ে চম্পট দেয় খৈরুল।
[আরও পড়ুন: সেদিনের হার্মাদরা শুভেন্দুর সঙ্গে ঘুরছে, ‘হার্মাদ মুক্তি দিবসে’ তোপ তৃণমূলের]
জয়নগর স্টেশনে পৌঁছে হুঁশ ফেরে বিবেকানন্দ শিকদারের। তখনই দেখেন, সঙ্গে থাকা পঞ্চাশ হাজার টাকা ও মোবাইল গায়েব। বুঝতে পারেন, সদ্য পরিচিতর হাত থেকে চা (Tea) খেয়েই বড় বিপদে পড়েছেন তিনি। আরপিএফের কাছে অভিযোগ জানান। এরপরই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন আরপিএফ ও তাদের অপরাধ দমন শাখার গোয়েন্দারা। মাঝরাতে শিয়ালদহ স্টেশনে তল্লাশি চালানো হয়। বৃহস্পতিবার সাউথ স্টেশন থেকে সন্ধেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা খৈরুলকে ধরে তার ব্যাগ থেকে ক্রিম বিস্কুট, কলা ও প্রচুর মাদক ট্যাবলেট পায় আরপিএফ।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপের জন্য জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি’, ভারতের কড়া বার্তার পর জবাব কাতারের]
এরপর জেরায় কবুল করে ১৯ তারিখের চুরির ঘটনায় সেই করেছে। কুড়ি হাজার টাকার দেনা মিটিয়ে খুইয়েছে জানিয়ে তিরিশ হাজার টাকা ফেরত দেয় দুষ্কৃতী। আরপিএফের পূর্ব রেলের আইজি পরম শিব জানান, বারবার প্রচার সত্বেও যাত্রীরা সচেতন হয়নি। অপরিচিতের দেওয়া খাবার, জল অবলীলায় খেয়ে নেন। এটা বিপজ্জনক। মাদকের পরিমান বেশি হওয়ায় মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে। একমাত্র সচেতনতাই এই অপরাধ বন্ধ করতে পারে। তিনি যাত্রীদের অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া খাবার খেতে ফের নিষেধ করেছেন।