সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত খুনোখুনি লেগেই আছে। ফের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার রোহিঙ্গা শিবিরে দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক রোহিঙ্গা যুবক।
সূত্রের খবর, নিহত যুবকের নাম মহম্মদ সালেক। বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ ৮ নম্বর ইস্ট ক্যাম্পের বি/৫০ ব্লকে এ কাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি মহম্মদ শামিম হোসেন। নিহত মহম্মদ সালেক ওই ক্যাম্পের ডি/৭৬ ব্লকের মহম্মদ নুর আলমের ছেলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতামূলক কাজকর্ম দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "ওরা এখন আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবিকতার কথা চিন্তা করে ওদের আশ্রয় দিয়েছিলাম এখন তারা পরিবেশ বিনষ্ট করছে।"
[আরও পড়ুন: হজম করতে হয়েছে সমালোচনা, রোহিত-দ্রাবিড়ের ৩ বিতর্কিত সিদ্ধান্তই জেতাল বিশ্বকাপ]
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুনোখুনি প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ""নিজভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা না গেলে বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের হাব হয়ে উঠতে পারে। কারণ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার অনেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।" ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন থেকে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারও আগে এসেছিল চার লক্ষ। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, "মায়ানমার একটি অস্থিতিশীল দেশ। ওখানে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা চলছে। বিভিন্ন সময় দেশটিতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নানা চুক্তি বা সমঝোতা স্বাক্ষরিত হলেও মায়ানমারের কারণে তার অগ্রগতি হয়নি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু সংখ্যক লোক মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে।" তিনি আরও জানান, "একইসঙ্গে অস্ত্র ও খুনে জড়িতদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়াই আমাদের মূল কাজ।"