কুণাল ঘোষকে ‘জয় শ্রীরাম’স্লোগান দিয়েই আড়ালে ব্যক্তি, হেসে নববর্ষের শুভেচ্ছা তৃণমূল নেতার

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঠ ভরতি মানুষ। সকলের মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। কিন্তু আচমকাই মাঝখান থেকে উঠল অন্য স্লোগান – ‘জয় শ্রীরাম’ (Jai SriRam)। কিন্তু কে তুললেন সেই স্লোগান? ভিড়ের মধ্যে তা বোধগম্য হল না। কারণ, স্লোগান দেওয়ার পরই লুকিয়ে পড়েন তিনি।

স্থান পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির এক খেলার মাঠ। শুক্রবার দুপুরে সেখানে জনসংযোগের জন্য গিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁকে দেখেই একজন চিৎকার করে ওঠেন ‘জয় শ্রীরাম’। কিন্তু তারপরই গা ঢাকা দেন। সেই ব্যক্তির এহেন আচরণে কুণাল ঘোষ পালটা যা করলেন, তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল (TMC) মুখপাত্রের সৌজন্যমূলক আচরণে আপ্লুত ওই ব্যক্তিও।

‘জয় বাংলা’র মাঝে চড়া গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনে থেমে যান কুণাল ঘোষ। তিনি পালটা হেসে আড়ালে চলে যাওয়া ব্যক্তিকে ডেকে বলেন, ”সামনে আসুন, কোনও অসুবিধা নেই। সামনে এসেই বলুন।” তবুও তিনি সামনে আসেননি। এরপর কুণাল ঘোষ হাত বাড়িয়ে দেন তাঁর দিকে। তখন তিনি সামনে এসে হ্যান্ডশেক করেন তৃণমূলের মুখপাত্রের সঙ্গে। কুণালবাবু তাঁকে বলেন, ”নতুন বছর ভাল কাটুক।” এরপর স্বভাবতই আর কিছু বলতে পারেননি ভিন সুরে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তি। আর এহেন সৌজন্যমূলক আচরণেই তৃণমূলের মুখপাত্র বুঝিয়ে দিলেন, ‘বেসুরো’ স্লোগানে ঘাসফুল শিবিরকে কোনওভাবেই প্ররোচিত করা যাবে না।

[আরও পড়ুন: অঞ্জলিকে চাপা দিল কে? অভিযুক্তদের বয়ানে বিভ্রান্ত দিল্লি পুলিশ, প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ]

শুধু তাই নয়, খেজুরির (Khejuri) জনসভায় তৃণমূলের মুখপাত্র রসিকতা করে বলেন, ”গোটা মাঠে জয় বাংলা স্লোগান চলছিল। একজনই তার মধ্যে একটু অন্য স্লোগান দিলেন। আমি বললাম, সামনে এসেই বলুন। তারপর তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালাম। আমার বক্তব্য হচ্ছে, যে, যে স্লোগানই বলুন, আপনারা সকলে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী এসব কার্ড করে নেবেন। তাহলে আপনাদেরই সুবিধা হবে। আর যে স্লোগানেই ভরসা রাখুন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নতুন বছরে ভাল থাকবেন। এটাই আমাদের শুভেচ্ছা।”  

[আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রীকে খুনের পর দেহ পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ, আটক ২ প্রতিবেশী]

এর আগেও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক তরজা হয়েছে আরও।  মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে নানা জায়গায় এই স্লোগান তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু কুণাল ঘোষ যেভাবে পরিস্থিতি সামলালেন, তা রাজনৈতিক দিক থেকে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

দেখুন সেই ভিডিও: