সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাকার সঙ্গে প্রেম! এই সন্দেহে মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ঘনঘন কাকাকে ফোন করে নাকি প্রেমালাপ করতেন মেয়ে। এনিয়ে বহুবার মেয়েকে বকাবকিও করেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই দুজনকে 'শাস্তি' দিতে চরম পথ বেছে নেন বাবা। এই হত্যাকাণ্ডে তাঁকে সাহায্য করেছেন ছেলেও। এমনকী বাবার সঙ্গে মিলে কাকা ও দিদিকে খুন করে আত্মসমর্পণ করার জন্য পুলিশকে ফোনও করেন অভিযুক্ত। দুই 'খুনি'কেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে দিল্লির ভজনপুরা এলাকায়। মৃতদের নাম শাইনা কুরেশি (২২) ও দানিশ খান (৩৫ )। দানিশ সম্পর্কে শাইনার কাকা ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে দানিশ থাকছিলেন শাইনাদের বাড়িতে। সেখান থেকেই নাকি দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একই বাড়িতে থেকেও তাঁরা ফোনে কথা বলতেন। যা নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করেন শাইনার বাবা মহম্মদ শাহিদ। তাঁরা নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। যে কারণে শাইনাকে কাকার সঙ্গে কথা বলতে বারণ করে দিয়েছিলেন শাহিদ। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বারণ সত্ত্বেও দানিশের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন শাইনা। একদিন হাতেনাতে মেয়েকে ধরে ফেলেন শাহিদ। এনিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়াও হয়। দুজনেই এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি শাহিদ। তাই ছেলে কুদুশের সঙ্গে মিলে ছক কষে ফেলেন কীভাবে মেয়ে ও ভাইকে খুন করবেন।
[আরও পড়ুন: মমতার উত্তরসূরি কি অভিষেক? মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো]
পরিকল্পনা মতো এদিন দুপুরে শাইনা ও দানিশকে ঘরে ডাকেন শাহিদ। ফোনের কথোপকথন ও মেসেজ নিয়ে প্রশ্ন করেন দুজনকে। তখনও এক দফা তর্কাতর্কি হয় তাঁদের মধ্যে। তার পরই মেয়ে ও ভাইয়ের উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন শাহিদ। গলা কেটে খুন করেন তাঁদের। এই হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে ছিল কুদুশও। বাবার সঙ্গে কাকা ও দিদিকে খুন করার পর পুলিশকে ফোন করেন গোটা বিষয় জানান বছর কুড়ির কুদুশ। সেই ফোন পেয়েই ঘটনা স্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। ঘর থেকে শাইনা ও দানিশের দেহ উদ্ধার করে। এবং গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের।
এনিয়ে পুলিশ কমিশনার জয় তিরকি জানান, "শাইনার হাত-পা ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। অভিযুক্তরা প্রথমে দানিশকে খুন করে। তার পর হত্যা করে শাইনাকে। এর পর কুদুশ পুলিশকে ফোন করে গোটা বিষয় জানায়। দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।"