অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের (TMC) ‘জনগর্জন সভা’। এখান থেকেই কার্যত লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Polls) আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবে বাংলার শাসকদল। জেলায় জেলায় সেই সভার প্রস্তুতি চলছে। আর সেই প্রস্তুতি সভা থেকেই দলের সর্বস্তরের কর্মীদের ব্রিগেডে জমায়েত হওয়া নিয়ে কার্যত নিদান দিয়ে বিতর্ক বাঁধালেন সবংয়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা (Manas Bhunia)। শুক্রবার সবং থেকে তিনি বলেন, “আমরা যদি দেখি কোথাও কোথাও কোনও নেতা ব্রিগেডে যাননি, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শুক্রবার সবং (Sabang) থানার দাঁররা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের চাঁদকুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সভা করেন মানস ভুঁইঞা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। বিধায়ক তথা মন্ত্রীর দাবি, “আমরা যদি দেখি কোথাও কোথাও কোনও নেতা ব্রিগেডে যাননি, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এই কাজে ব্যর্থ হলে ব্লক স্তর থেকে শুরু করে অঞ্চল-সহ বুথ নেতাদের বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শুধু তাই নয়, ব্লক স্তর থেকে শুরু করে অঞ্চল-সহ বুথ সভাপতি ও নেতাদের সাধারণ মানুষকে নিয়ে সকাল সকাল ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে ব্রিগেডে না গেলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মানস ভুঁইঞার এমন নিদান ঘিরে বিতর্ক উসকে উঠেছে।
[আরও পড়ুন: চলতি মাসেই অপেক্ষার অবসান! কবে থেকে শুরু গঙ্গার তলায় মেট্রো পরিষেবা?]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার এক নেতা বললেন, “এই ধরনের বক্তব্য না রাখাই ভালো। কারণ, কর্মীরা কারও অধীনস্ত কর্মচারী নন। প্রত্যেকে দল করেন দলকে ভালোবেসে ও নিজের আগ্ৰহে। কেউ কোনও নেতার দাস নয়।”
এনিয়ে জেলার বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এই ব্যাপারে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার-সহ সভাপতি অমূল্য মাইতির প্রতিক্রিয়া, “মন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন, সবং থেকে লোক ব্রিগেডে যাবে না। তাই ভয় পেয়ে এই ধরনের হুমকি দিতে শুরু করেছেন। এছাড়া উনি এসব বলার কে? দল কি তাঁকে এই ক্ষমতা দিয়েছে না কি?” তবে শুধু বিরোধীরাই নয়। দলের অন্দরেও মানস ভুঁইঞার এ ধরনের মন্তব্য অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না।