সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাণ্ডিতে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে এগিয়ে বিজেপির প্রার্থী তারকা তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এখনও পর্যন্ত ট্রেন্ড যা বলছে, হিমাচলের মাণ্ডি কেন্দ্র (Mandi Lok Sabha) রয়েছে কঙ্গনারই হাতের মুঠোয়। সে ব্যাপারে কঙ্গনাও আত্মবিশ্বাসী। তবুও ঠাকুরভক্ত কঙ্গনা কিন্তু সকাল থেকেই ঠাকুরঘরে ব্যস্ত। ভোট গণনার খবর কানে নিয়েই প্রদীপ হাতে কঙ্গনা এখন প্রার্থনারত।
প্রথমবার ভোটের ময়দানে। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি কেন্দ্র থেকে বিজেপির তুরুপের তাস কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। ‘ক্যুইন’-এর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তরফে লড়ছেন সেখানকার ‘রাজপুত্র’ বিক্রমাদিত্য সিং। যাঁর পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও বেশ পোক্ত। মা-বাবা দুজনেই হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হিমাচলে। ফিল্মিদুনিয়ার মতো রাজনীতির ময়দানেও তাঁর পিছু ছাড়েনি ‘নেপো কিড’! অতঃপর মাণ্ডির পিচে কঙ্গনার লড়াই যে বেশ চ্যালেঞ্জের, তা বলাই বাহুল্য। যদিও প্রচারের ময়দানে ‘রাজা’কে নিত্যদিন গরম সংলাপে কিস্তিমাত দিচ্ছেন ‘ক্যুইন’। একেবারে যেন বাঘা রাজনীতিক।
[আরও পড়ুন: দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে কলকাতা ছাড়লেন সুদীপা! ‘রান্নাঘর’-এর দায়িত্ব না পেয়ে অপমানের জবাব?]
ভোট ফ্যাশনেও দলের রং এবং হিমাচলী ঐতিহ্যকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। ভোটের দিন বুথ থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে ছিলেন, “আমি এই ভোট দিয়ে বেরোলাম। গণতন্ত্রেরর উৎসবে সকলকে শামিল হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। দয়া করে নিজেদের ভোট দিন। হিমাচল প্রদেশে গেরুয়া ঝড়। আশা করি, মাণ্ডির মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন। আর আমরা এখানে চারটে আসনেই জিতে যাব। বিজেপির ৪০০ পার করা আসনের তালিকায় থাকবেই হিমাচলের এই আসনগুলি। আমি নিশ্চিত।”
ভোট প্রচারেমোদির পাশে দাঁড়িয়ে মঞ্চ থেকে কঙ্গনা বলেছিলেন, ''প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্দেশনায় কাজ করার দিন এসেছে। তিনি যে কারিগরি ও আধুনিক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন তা অসাধারণ। এখন আমি তাঁর দলের অংশ এবং দলীয় কর্মী হিসাবে মান্ডির উন্নয়নমূলক কাজে অঙ্গিকারবদ্ধ।''
[আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ক্ষতবিক্ষত মিমি! ছবি শেয়ার করে কাকে দুষলেন?]