গোবিন্দ রায়: ২৩ মাস পর জামিন পেলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। চার শর্ত মানতে হবে তাঁকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের জেল মুক্তি হবে আজ, বৃহস্পতিবারই। কী কী শর্ত মানতে হবে তাঁকে?
হাই কোর্টের নির্দেশ, তদন্তকারী অফিসারের কাছে মোবাইল নম্বর দিতে হবে। নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে না বা তাঁদের প্রভাবিত করা চলবে না। তাঁদের হুমকি দেওয়া চলবে না। তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া চলবে না।
[আরও পড়ুন: আর জি করে দুর্নীতির তদন্তে এবার অ্যাকশন ইডির, সাতসকালে শহরের তিন প্রান্তে হানা]
উল্লেখ্য, প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল সিবিআই। কিন্তু তাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি। এই মামলায় ইতিমধ্যে আদালতও রক্ষাকবচ দিয়েছে তাঁকে। দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তার পর ২৩ মাস জেলেই ছিলেন তিনি। বার বার আদালতের জামিনের জন্য সওয়াল করেছেন। কোনও আইনজীবী নেননি। নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করেছেন। ২৯ আগস্ট শুনানি শেষ হয়েছিল। কিন্তু কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। এদিন মানিক ভট্টাচার্যকে(Manik Bhattacharya) জামিন দিল আদালত। সূত্রের খবর, আজই জেলমুক্তি। ইতিপূর্বে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তদন্তকারীদের দাবি ছিল, প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট ধ্বংস থেকে নিয়োগের তালিকা তৈরি সবটাই হত মানিত ভট্টাচার্যের অঙ্গুলিহেলনে। এমনকী, বেআইনি আর্থিক লেনদেনেও তাঁর যোগ মিলেছিল বলে দাবি করেছে ইডি। কার্যত নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্র চাঁই হিসেবে দেখানো হয়েছিল তাঁকে। তবে চার্জ গঠন থেকে বার বার পিছিয়ে এসেছে তারা। এবার জামিন পেলেন প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।