আশি বছর বয়সে জীবনযুদ্ধ শেষ। পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বেশ কিছুক্ষণ ফ্ল্যাটেই থাকছে দেহ। মৃত্যুর খবর পেয়েই সেখানে বামনেতৃত্ব, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুরাগীরা। সমস্ত তথ্য সরাসরি সংবাদ প্রতিদিন-এর লাইভে।
দুপুর ৪.২৫: এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
দুপুর ৩.৪০: ২ কামরার ফ্ল্যাটে অনাড়ম্বর জীবন কাটিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণের পর বিবৃতি পলিটব্যুরোর।
দুপুর ২.৩১: তপসিয়ার পিস ওয়ার্ল্ডে পৌঁছল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ। ১ নম্বর ভিআইপি প্রিজারভেটরে রাখা হল মরদেহ।
দুপুর ২.২০: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে ঋতুপর্ণা বলেন, ''মনে পড়ছে সেই দিনটি যেদিন উনি আর তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু আমার বিয়েতে এসেছিলেন। আসলে এইসব মানুষরা বিরল এই পৃথিবীতে। তাঁদের মানসিকতা, শিক্ষাজ্ঞান আমাদের সমাজকে সবসময় উর্বর করেছে। আজ ওঁর মতো একজন শিক্ষিত মানুষ, এত বড় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চলে গেলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি যা রেখে গেলেন সেটা আমাদের কাছে বিশাল সম্পদ। সকলের জন্য অনেক উদাহরণ রেখে গেলেন বুদ্ধবাবু, তাঁকে স্যালুট জানাতেই হবে।"
ছবি: সায়ন্তন ঘোষ।
দুপুর ২.১০: দলের তরফে খবর, আগামিকাল সকাল ১০ টা বেজে ৩০ মিনিটে পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বুদ্ধবাবুর দেহ রওনা দেবে বিধানসভার উদ্দেশে। সেখানে থাকবে আধ ঘণ্টা। মুজফফর আহমেদ ভবনে দেহ থাকবে ১২ টা থেকে ৩ টে বেজে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। তার পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখানে দেহ থাকবে ৩ টে ৪৫ পর্যন্ত। সেখান থেকে দেহদানের জন্য শেষযাত্রা হবে।
দুপুর ২.১৫: ফিরহাদ হাকিম বলেন, "রাজ্য রাজনীতিতে বড় শূন্যতা তৈরি হল। খুব ভালো সম্পর্ক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আমার সঙ্গেও সম্পর্ক মধুর ছিল। শুক্রবার দেহ বিধানসভায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারিভাবে সম্মান দেওয়া হবে। তবে রবীন দেব বলেছেন পার্টির সঙ্গে কথা বলেই জানাবেন। আমরা অপেক্ষায় আছি।"
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বুদ্ধজায়া মীরা ভট্টাচার্য।
দুপুর ১.৫০: পাম অ্যাভিনিউয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, আগামিকাল বেলা ১১ টায় দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বিধানসভায়। সেখান থেকে বুদ্ধবাবুর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে আলিমুদ্দিনে।
দুপুর ১. ৪৯: দিল্লির একেজি ভবনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত-সহ দক্ষিণের একাধিক নেতার। দলের কার্যালয়ে অর্ধনমিত করে রাখা হয়েছে পতাকা।
দুপুর ১.৪৩: ফ্ল্যাট থেকে বের করা হল বুদ্ধবাবুর দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, সন্তান সুচেতন ও অনুরাগীরা।
দুপুর ১.৪২: সোশাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন অভিনেতা-সাংসদ দেবের।
দুপুর ১.৩২: এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দুপুর ১.৩০: সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বললেন, "ভীষণ সিগারেট খেতেন। সেটা আমি লক্ষ্য করেছি। এত সিগারেট খাওয়াটা আমার খুব একটা পছন্দ হত না। ইচ্ছা ছিল বলি, যে এত সিগারেট খাবেন না, কিন্তু সেটা বলতে সাহস পাইনি।"
দুপুর ১.২৫: বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "একজন সত্যিকারের ভালো গুনী মানুষ চলে গেলেন ...ভালো থাকবেন .. বুদ্ধ বাবুর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা।"
দুপুর ১.২০: অসুস্থতা সত্ত্বেও সহযোদ্ধাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হলেন গৌতম দেব।
দুপুর ১.০২: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কর্ণিয়া সংগ্রহ করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। আগেই দান করা ছিল তাঁর চোখ। যদিও এই কর্ণিয়া ব্যবহার করা যাবে কি না, তা বোঝা যাবে ৬ ঘণ্টা পর।
দুপুর ১২.৫০: শোকস্তব্ধ ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বললেন, "তিনি আছেন, এটাই বড় বিষয় ছিল। সেটাও শেষ হয়ে গেল। আমি বলব, একটা অধ্যায়ের শেষ। বামপন্থী আন্দোলন ও বাম সরকার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অস্বীকার করা যাবে না।" আজই কলকাতায় আসছেন মানিক সরকার।
পাম অ্যাভিনিউতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ১২.৪০: দুঃখপ্রকাশ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, "রাজনৈতিক মত পার্থক্য ছিল। কিন্তু ওনার সততার জন্য ওনাকে অত্যন্ত সম্মান করি। এই ক্ষতি অপূরণীয়। পরিবার এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠুক।"
দুপুর ১২.৩১: শোকস্তব্ধ বিমান বসু। বললেন, "বন্ধু হারালাম।"
দুপুর ১২.৩০: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "উনি বারবার ফিরে আসুন এই বাংলায়।"
দুপুর ১২.২৫: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তী। পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করলেন তিনি।
দুপুর ১২.২২: এক্স হ্যান্ডেলে দুঃখপ্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। লিখলেন, "সঠিক ভাবনা, ভুল পদ্ধতির এক ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থাকবেন তিনি। প্রণাম তাঁকে।"
দুপুর ১২.২০: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পিস ওয়ার্ল্ডের বদলে দেহ নন্দন অথবা রবীন্দ্র সদনে সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তবে সিদ্ধান্ত নেবে পরিবার ও দল। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দেহ নন্দন বা রবীন্দ্র সদনে থাকলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ থাকলে অনুরাগীরা দেখার সুযোগ পাবে। আগামিকাল গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষশ্রদ্ধা জানানো হবে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
মিছিলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি।
দুপুর ১২.১৪: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তানকে পাশে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, খবরটা জানার পরই কেমন একটা অস্বস্তি ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। আচমকা হাত কেটে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে যায়।
দুপুর ১২.০৫: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলছেন বুদ্ধজায়া ও তাঁর সন্তানের সঙ্গে।
বেলা ১২.০১: বুদ্ধবাবুকে শেষ দেখা দেখতে তাঁর ফ্ল্যাটে উষসী চক্রবর্তী। বললেন, "বুদ্ধমামার সততা রাজনীতির দৃষ্টান্ত। একজন একজন করে চলে যাওয়া মানে, সেই ইতিহাসটাও যেন মুছে যায়। "
বেলা ১১.৪৪: পাম অ্যাভিনিউর ফ্ল্যাটে যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম-সহ অন্যান্য নেতারা। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রার সূচি জানালেন মহম্মদ সেলিম।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাটের সামনে অনুরাগীরা।
সকাল ৮.২০: বহুবছর ধরে অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে রাজনীতির খবর তিনি রাখতেন সর্বদা। সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থেকেও নতুন প্রজন্মকে বরাবর ভরসা জুগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়, বাড়তে থাকে জ্বর। চিকিৎসকে খবর দেওয়া হয়। তিনি গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। বেলা ৮ টা বেজে ২০ মিনিটে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়।