সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসারের বাতিল জিনিস দিয়ে কখনও কিছু তৈরির কথা ভেবেছেন? এমন কিছু, যা প্রযুক্তিগত দিক থেকে যুগান্তরের সাক্ষ্য বহন করে ? ভাবেননি তো ? আপনি আমি না ভাবলেও ভেবে ফেলেছে অভিনন্দন। শুধু ভাবাই কেন, একেবারে হাতেগরম তৈরিও করে ফেলেছে নিজের যন্ত্রমানব। ১১ বছরের বিস্ময় বালক অভিনন্দন দাস। মণিপুরের যারালপাতের মেগামণিপুর স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া।
নিজের তৈরি রোবটের নামও দিয়ে ফেলেছে অভিনন্দন। মেগানন্দ-১৮।নামের পিছনেও লুকিয়ে রয়েছে গল্প। নিজের মুখেই সেকথা জানিয়েছে ওই পড়ুয়া। স্কুল মেগামণিপুর থেকে প্রথম অংশ। নিজের নামের কিছুটা ও ২০১৮ সাল মিলিয়ে তার তৈরি রোবট হয়েছে, মেগানন্দ-১৮।
[বিচ্ছেদের বদলা, প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়ির সামনে দুঃখের গান চালিয়ে নাচ যুবতীর]
পশ্চিম ইম্ফলের থিংনাম লেইকাইয়ের বাসিন্দা অভিনন্দন। টিভির একটি অনুষ্ঠানে প্রথম রোবট তৈরি হতে দেখে। ওই পদ্ধতি তাকে খুব টেনে ছিল। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেই বানিয়ে ফেলল যন্ত্রমানব। তবে ভাবলেই তো আর রোবট তৈরি করা যায় না। তারজন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীরও দরকার পড়ে। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া রোবট তৈরির টাকা কোথায় পাবে। বাবা মাকে বলেও লাভ নেই। বাচ্চার খেয়াল বলে উড়িয়ে দিতে পারেন। অগত্যা নিজেই উদ্যোগ নিল। পিচকারি, এলইডি বাতি, বিদ্যুতের কাজে ব্যবহৃত তার, ছোটখাটো নাটবল্টু, বাতিল মোবাইল ফোনের যন্ত্রপাতি, মায়ের রান্নাঘর ঘর থেকে হরলিক্সের বোতল নিয়ে কাজে নেমে পড়ল সে। পাইপ দিয়ে তৈরি হাইড্রলিক সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি হল হাত। কোনওরকম পেশাদারের সাহায্য ছাড়াই ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে যন্ত্রমানব তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করল অভিনন্দন।
বলাবাহুল্য, ছোট ছেলেটি জানত না তার জোগাড় করা সামগ্রী দিয়ে আদৌ রোবট তৈরি করা যায়। তবে হাল ছাড়েনি সে। আশায় বুক বেঁধে কাজে লেগেছিল। একটাই লক্ষ্য যেভাবেই হোক একটা রোবট তাকে তৈরি করতেই হবে। অনেকবার জুড়েছে। অনেকবার ভেঙেছে। একটা সময় দেখছে তার রোবট সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে। হাত দিয়ে জলভরা গ্লাস ধরে রাখতে পারছে। ১১ বছরেই আবিষ্কারের স্বাদ পেয়ে গেল অভিনন্দন। আগামীতে আরও নিত্যনতুন আবিষ্কার আসুক এই বিস্ময় বালকের হাত ধরে।
[শৌচকর্ম করতে গিয়েই ধর্ষিতা, নাবালিকার জন্য শৌচাগার তৈরির উদ্যোগ পুলিশের]
The post বাতিল জিনিস দিয়ে রোবট তৈরি করল মণিপুরের বিস্ময় বালক appeared first on Sangbad Pratidin.