সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে সেনাবাহিনীর আচরণে ক্ষুব্ধ সেরাজ্যের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের (N Biren Singh) সরকারের অভিযোগ, গত শুক্রবার টেংনোপল জেলায় বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে সাধারণ নাগরিকদের উপর গুলি চালিয়েছেন সেনা জওয়ানরা। যা সেনার কাছে একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ টেংনোপল জেলার পাল্লেল এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় সেনাবাহিনীর। শুক্রবার গোটা দিনই সেই সংঘর্ষ চলে। সেনার পাশাপাশি এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ, মণিপুর পুলিশ ও অসম রাইফেলসের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেই গোলাগুলিতে ৩ জনের প্রাণ যায়। আহত হন ৫০ জন। অভিযোগ, সেনার গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের তিন আগুনে পেসারকে খেলা বাড়তি চাপের! সত্যিটা মেনে নিলেন শুভমান]
এবার মণিপুর (Manipur) সরকার সেনার এই গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করল। তাদের বক্তব্য, সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত। শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেনার পদক্ষেপের নিন্দা করে প্রস্তাবও পাশ করানো হয়।
[আরও পড়ুন: সমারবিক্রমার ব্যাট, শনাকার বোলিংয়ের কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়]
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কুকি ও মেতেই দুই সম্প্রদায়ের জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে হাতিয়ার জমা নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। তবে সন্ত্রাসদমন প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে মেইরা পাইবির মতো সংগঠনগুলি। সাধারণ মানুষ বা ‘ভূমিপুত্র’রা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের জঙ্গিদের আড়াল করছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোরাল। তাই অভিযান চালাতে গিয়ে অনেক সময় সেনাকেও কঠোর পথ অবলম্বন করতেই হবে।