অর্ণব আইচ: অবশেষে পুলিশের জালে বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনে অভিযুক্ত শার্প শুটার অনীশ ঠাকুর। তামিলনাড়ুতে একটি ডাকাতি ঘটনায় তাঁকে আটক করে সে রাজ্যের পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, অনীশকে রাজ্যে আনতে সিআইডি টিম যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘রামের ভারতে পেট্রল ৯১ টাকা অথচ রাবণের শ্রীলঙ্কায় ৫১ টাকা’, মোদিকে কটাক্ষ অনুব্রতর]
সূত্রের খবর, তরুণ বিজপি নেতা মনীশ শুক্লাকে হত্যার পর দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে গা ঢাকা দীয়ছিল অনীশ। শেষমেশ তামিলনাড়ুতে দুষ্কৃতীদের একটি গ্যাংয়ে শামিল হয়ে যায় সে। সেখানেই একটি ডাকাতির চেষ্টা চালায় ওই সমাজবিরোধীরা। কিন্তু এবার আর ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি অনীশের। পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে। পরিচয় যাচাই করে তামিলনাড়ু পুলিশ জানতে পারে যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অনীশ। তারপরই বিষয়টি জানানো হয় লালবাজারকে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে আনতে কলকাতা থেকে আজই সিআইডি টিম তামিলনাড়ু যাচ্ছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের রবিবার, ভরসন্ধেবেলা টিটাগড়ে বিটি রোডের উপর প্রকাশ্য রাস্তায় আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন তরুণ, জনপ্রিয় বিজেপি নেতা তথা টিটাগড় পুরসভার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা। পরিকল্পনা করে শার্প শুটারদের কাজে লাগিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সেসময় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে, তা নিয়েও বহু তর্কবিতর্ক হয়। এরপর মণীশ খুনে তদন্তের দায়িত্ব সিআইডির হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। তদন্ত শুরু করে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনের হদিশ পান সিআইডি আধিকারিকরা। গ্রেপ্তারও করা হয় কয়েকজনকে। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় মোট ১০ জনকে অভিযুক্ত করে বারাকপুর আদালতে জমা পড়ে চার্জশিট। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়। চার্জশিটে সন্দেহভাজন হিসেবে রয়েছে ১২ জনের নাম। এই ১২ জনের বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।