রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) নন্দীগ্রামের দিকে নজর ছিল সকলের। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে নজর কেড়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই। এই দুই হেভিওয়েটের মাঝে কিছুটা ভাস্বর হয়ে উঠেছিলেন সংযুক্ত মোর্চার তরফে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ‘টাফ ফাইটের’ মাটি নন্দীগ্রামে অবশ্য ২ মে শেষ জয়ের হাসি হেসেছিল পদ্ম শিবির। তবে এখনও থামেনি তরজা। ভোটের ফলাফল নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এবার সেই নন্দীগ্রামেই বিজেপিতে ভাঙন। পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনশোরও বেশি কর্মী।
রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল কার্যালয়ে হরিপুর অঞ্চলের প্রায় ৩৬০ জন বিজেপি কর্মী শাসক শিবিরে যোগ দেন। যোগদানকারীদের তালিকায় ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী অনিন্দিতা জানা, তমলুক জেলা এক্স আর্মি সেলের জেলা কমিটির সদস্য শুভাশিস জানা, বাম শিবিরের বাদল দুয়ারি ও প্রদীপ জানা-সহ একাধিক কর্মী সমর্থকেরা। যোগদান পর্বের অনুষ্ঠানে, নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লক সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন দাস বলেন, “কোভিড বিধি মেনেই একেবারে জমায়েত করে যোগদান করানো হয়নি। ধীরে ধীরে কয়েকটি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যোগদান করানো হয়েছে তাঁদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের শরিক হতেই ওঁদের তৃণমূলে যোগ।”
[আরও পড়ুন: সোনামুখীতে আক্রান্ত BJP, বিধায়কের গাড়ি ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, কাঠগড়ায় TMC]
যদিও বিজেপির (BJP) দাবি এক্স আর্মি সেলের জেলা কমিটির সদস্য শুভাশিস জানাকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রলয় পাল যোগদান পর্ব প্রসঙ্গে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে এত অত্যাচার করেছেন, এত লুঠ করেছেন যে এখানকার মানুষ হাত তুলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। হেরে গিয়ে কালীঘাটে আর মুখ দেখাতে পারছেন না। তাই কীভাবে যোগদান করানো যাবে সেইসব চিন্তা করছেন। যে কয়েকজন যোগ দিয়েছেন তাতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপি বিজেপির জায়গায় থাকবে।”