শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ভোটের মুখে সামশেরগঞ্জের (ShamsherGunj) প্রার্থী নিয়ে রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল কংগ্রেসকে। সেই সমস্যা মিটতে না মিটতেই এবার কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন। বৃহস্পতিবার হাত শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৪৫ জন কর্মী। নির্বাচনের মুখে এই দলত্যাগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
৩০ সেপ্টেম্বর সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন। ওই আসনে তৃণমূলের (TMC) হয়ে লড়াই করছেন আমিরুল ইসলাম। তাঁর নেতৃত্বেই বৃহস্পতিবার ধুলিয়ানে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে একটি যোগদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্য কমিটির-সহ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, ধুলিয়ান পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান আলম মেহেবুব, ধুলিয়ান টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মেহেবুব আলম, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম-সহ অন্যান্যরা। সেখানেই তৃণমূলে যোগ দেন সামশেরগঞ্জের প্রায় ৪৫ জন কর্মী।
[আরও পড়ুন: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছেন, আশা করি পেনশন সমস্যা মিটবে’, ঘরে ফিরে বললেন বুদ্ধদেব শ্যালিকা]
বহুদিন মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত থাকলেও ধীরে ধীরে ছবিটা পালটেছে। একুশের নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের যে ২০ টি আসনে নির্বাচন হয়েছে তার একটিও পায়নি হাত শিবির। তৃণমূল পেয়েছিল ১৮ টি। বিজেপির দখলে ২ টি। এখন কংগ্রেসের লক্ষ্য সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর। তবে এহেন ভোটের মুখে এহেন দলত্যাগ কংগ্রেসের চিন্তা যে বাড়াচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দিন ঘোষণার পরই সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে আসার কথা জানান। ফলে ভোটের মুখে প্রার্থী নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে কংগ্রেস। দফায় দফায় জইদুরের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের নেতারা। অবশেষে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন জইদুর।