স্টাফ রিপোর্টার: ‘ভুয়ো’ বা ‘সন্দেহজনক’ আধার কার্ড (Aadhar Card) বানিয়ে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের স্থানীয় ক্রিকেটার সেজে ময়দানে দাপিয়ে খেলে বেড়ানো নিয়ে অভিযোগ বহু বার উঠেছে। এবার সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের ‘কুকীর্তি’ হাতেনাতে ধরাও পড়ল! স্থানীয় পরিচয় দিয়ে সিএবির (CAB) বিভিন্ন ডিভিশনে খেলে বেড়ানো একঝাঁক ক্রিকেটারের আধার কার্ডে গরমিল খুঁজে পেল সিএবি। এবং ‘অভিযুক্ত’ ক্রিকেটাররা নথিজনিত সমস্যা না মেটালে, তাঁদের বড় শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে।
খবর যা, তাতে বিভিন্ন ডিভিশনে খেলা জনা চল্লিশেক ক্রিকেটারের জমা করা আধার কার্ডে গরমিল খুঁজে পেয়েছে সিএবি। সরকারি পোর্টালে নাকি দেখা যাচ্ছে, সেই সমস্ত ক্রিকেটাররা অন্য প্রদেশের। ভিন রাজ্যের। কিন্তু স্থানীয় পরিচয় দিয়ে তাঁরা দিব্যি ময়দানে ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থা অতীতে ঘোষণা করেছিল যে, ক্রিকেটে দুর্নীতি কোনও রকম ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। নথি সংক্রান্ত কোনও রকম জালিয়াতি বরদাস্ত করা হবে না। সিএবি লিগ খেলতে গেলে ক্রিকেটারদের আধার কার্ড জমা করা বাধ্যতামূলক। সেই সব নথিই তদন্ত করে দেখতে গিয়ে সিএবি আবিষ্কার করেছে যে, বেশ কিছু ক্রিকেটারের আধার কার্ডে গরমিল আছে। সেই সমস্ত ক্রিকেটাররা নথি সরাসরি জাল করেছেন, সিএবি কর্তারা এখনই বলতে চান না। কিন্তু তাই বলে ‘সন্দেহজনক’ নথি নিয়ে সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের খেলতেও দিতে চান না।
[আরও পড়ুন: ICC’র টুর্নামেন্টে বারবার ব্যর্থতা, বিরাটের দলগঠন নিয়েই এবার সমালোচনায় মুখর মহম্মদ কাইফ]
আজ, শুক্রবার সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠক। সেখানে এই ধড়পাকড়ের ব্যাপারটা উঠবে। যতটুকু যা শোনা যাচ্ছে, তাতে ‘সন্দেহভাজন’দের এখনই শাস্তি না শুনিয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে, আধার কার্ডের গরমিল ঠিক করতে। আর সেটা যত দিন না হয়, তত দিন তাঁদের হয়তো খেলতে দেওয়া হবে না। আর শেষ পর্যন্ত যদি দেখা যায়, কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে আধার কার্ড ‘জাল’ করে ময়দানে স্থানীয় পরিচয়ে খেলছেন, কড়া শাস্তি পেতে হবে। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, “এই মুহূর্তে এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এটা ঠিক সিএবি কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না।”