কৃষ্ণকুমার দাস: বাংলায় সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকে থাবা বসাতে হায়দরাবাদের AIMIM এর রাজ্য সংগঠন ভেঙে চৌচির। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সংগঠনে বড়সড় ভাঙন ঘটিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজ্যে AIMIM-র যুব সভাপতি। তাঁরই সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরে এলেন রাজ্যের সংখ্যালঘউ জেলাগুলির যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক-সহ একাধিক পদাধিকারী ও সদস্য। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে রাজ্য তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিলেন তাঁরা। সকলের বক্তব্য, এ রাজ্যে বিজেপিকে রুখতে, সংখ্যালঘু ভোট একত্রিত করতে তাঁরা তৃণমূলের হাত ধরলেন। একসঙ্গে উভয় দল লড়াই করবেন।
বিহার নির্বাচনে ভোট কাটাকাটিতে ওয়েইসির দলের ভাল ফল হয়েছে। সেই সাফল্যের উপর ভর করে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) দল এ রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট টানতে একুশের নির্বাচনে লড়াইয়ের আগ্রহী। বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলিতে সংগঠনে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ রাজ্যে মিমের সম্পাদক অসীম ওয়াকার। তবে তাঁর সেই আশায় জল ঢেলে দিন কয়েক আগেই দলের বেশ কয়েকজন নেতা, সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার যুব সংগঠনও হাঁটল সে পথেই। তবে এদিন যুব সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যই শাসক শিবিরে যোগদান করায় কার্যত বিপাকে AIMIM।
[আরও পড়ুন: সল্টলেকে বাড়ির ছাদে মিলল যুবকের কঙ্কাল! খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার গৃহকর্ত্রী]
কেন এভাবে তৃণমূলের হাত ধরল ওয়েইসির দলের যুব সংগঠন? AIMIM-এর যুব সভাপতি তথা অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে খেলা ক্রিকেটার সফিউল্লা খানের বক্তব্য, ”আমরা যদি এ রাজ্যে আলাদাভাবে প্রার্থী দিই, নিজেদের দলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি, তাহলে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা চাই না, বাংলায় ধর্মীয় ভেদাভেদকারী বিজেপি ক্ষমতায় আসুক। তাই আমরা তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে লড়াই করব। তাতে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি হবে না, একত্রিত থাকবে।”
[আরও পড়ুন: তলব পেয়ে উপস্থিত হলেও প্রয়োজনীয় রিপোর্ট নেই, মুখ্যসচিব, ডিজিপির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল]
আর এই যোগদান নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া, ”বাংলায় সংখ্যালঘুরা কী চাইছেন? মিম চাইছে না ‘ভাইজান’কে চাইছেন? দেখা যাচ্ছে, এদের কাউকেই চান না তাঁরা। বিজেপিকে রুখতে তাঁরা একমাত্র তৃণমূলের উপরই ভরসা রাখছেন।” এরপর বাংলার ভোটে লড়াই করতে গেলে মিমকে প্রায় শূন্য থেকে সংগঠন তৈরি করতে হবে, তা প্রায় স্পষ্ট।