shono
Advertisement

প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণ শিবিরে যেতে নারাজ, শেষ সম্বল আঁকড়ে ভাঙা বাড়িতেই সুন্দরবনের বহু মানুষ

আয়লা পরবর্তী দিনগুলির কথা ভেবে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। The post প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণ শিবিরে যেতে নারাজ, শেষ সম্বল আঁকড়ে ভাঙা বাড়িতেই সুন্দরবনের বহু মানুষ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 01:56 PM May 20, 2020Updated: 02:58 PM May 20, 2020

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কারও কাঁচাবাড়ি। আবার কারও ঘরের চালও শক্তপোক্ত নয়। আর তার মধ্যেই বসবাস পরিবারের সদস্যদের। এগারো বছর আগে বিধ্বংসী আয়লার ধাক্কা সামলে বানানো ঘরটুকুই সম্বল গৃহস্থের। ঘরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে গৃহস্থালির সামান্য জিনিসপত্র এবং রেশনের চাল। প্রাণের মায়া ত্যাগ করে ওই শেষ সম্বলটুকু ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে যেতে পারছেন না অনেকেই। পরিবারের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাড়ি থেকে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবারের অল্পবয়সি সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি নন। কারণ, ঝড় শেষ হয়ে গেলে তারপর তাঁরা খাবে কী? আর তাই প্লাস্টিকের বস্তায় মুড়ে রেশনের চাল নিয়ে বাড়িতেই অপেক্ষা করছেন।

Advertisement

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় আমফানের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে। সঙ্গে ঝড়ের দাপট রয়েছে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার এলাকায়। আমফানের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। আর তাই সাধারণ মানুষের জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ মানুষকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্কুল বাড়ি ও বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলিতে।

[আরও পড়ুন: ঘরে ফিরতে লাখ টাকা খরচ! মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় ফিরে সর্বস্বান্ত হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা]

যেখানে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সেখানে নিজেদের উদ্যোগেই বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বেশ কিছু দুর্গত এলাকার মানুষরা জানান, “বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবো? বাড়ি ছেড়ে যাওয়া মানে সর্বস্ব খুইয়ে ফেলা। একদিকে যেমন বাড়ির সমস্ত কিছুই চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে অন্যদিকে তেমনি যদি নদীর জল ঢুকে পড়ে তাহলেও ক্ষতি হবে। তার চেয়ে বরং বাড়িতে থাকলে নিজের উদ্যোগে কিছুটা বাঁচিয়ে রাখা যায়। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে তা আর সম্ভব নয়।”

সুন্দরবনের গোসবা ব্লকের কুমিরমারি, লাহিরিপুর, বালি, ঝড়খালি ও মোল্লাখালির সর্বত্রও একই চিত্র। বহু মানুষকে প্রশাসনের উদ্যোগে সরানো হয়েছে। আবার অন্যদিকে কুলতলিতে দেখা গিয়েছে অন্য চিত্র। উপযুক্ত সাইক্লোন সেন্টার না থাকার কারণে বহু মানুষ বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও স্কুলের চাবি তাঁরা না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক জয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, “যথেষ্ট পরিমাণে সাইক্লোন সেন্টার এলাকাতে নেই আমরা তাই স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম স্কুলগুলো খুলে রাখা হোক। কিন্তু বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখা যাচ্ছে স্কুলে তালা দেওয়া। মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় তালা ভেঙে স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেছেন।”

[আরও পড়ুন: ফিরছে আয়লার স্মৃতি, আমফানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে মরিচঝাঁপি-কুমিরমারি দ্বীপ]

The post প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণ শিবিরে যেতে নারাজ, শেষ সম্বল আঁকড়ে ভাঙা বাড়িতেই সুন্দরবনের বহু মানুষ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার