সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি। অক্লান্ত পরিশ্রম। চাপা টেনশন। সঙ্গে মনের কোণে একটু একটু করে বুনতে থাকা স্বপ্ন। সবকিছুতেই যেন ইতি টানল ছোট্ট একটি ঘোষণা। তবে সেই অল্প কথাই যেন ভারতবাসীর কাছে ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। কারণ, তীরে এসে তরী ডুবল চন্দ্রযান ২-র। এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ল্যান্ডার বিক্রমের যোগাযোগ। তাতেই হতাশ বিজ্ঞানীরা। তবে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন প্রায় সকলেই।
[আরও পড়ুন: ‘চলার পথে বাধা আসেই, তবে চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আরও বাড়ল’, বিজ্ঞানীদের পাশে মোদি]
শুক্রবার মধ্যরাতে খাওয়াদাওয়া সেরে সবাই তৈরি। তবে আর পাঁচদিনের রুটিনের মতো ঘুম নয়। সেদিন ছিল প্রায় সারা রাত জাগার পরিকল্পনা। কারণ, চোখের পাতা বন্ধ হলেই হয়তো চন্দ্রযান ২-এর চাঁদ ছোঁয়ার মাহেন্দ্রক্ষণের মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারা যাবে না। তাই তো সকলেরই নজর ছিল সেদিকে। ইসরোর কথামতো ঠিক রাত ১.৪০ থেকে উৎকণ্ঠার পারদ চড়তে থাকে। ধীরে ধীরে চাঁদের মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে যায় ল্যান্ডার বিক্রম। উৎকণ্ঠা আরও বাড়তে থাকে। আচমকাই সব শেষ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। ৯৫ শতাংশ সাফল্যের পরেও বিক্রম হারিয়ে যাওয়ায় মন ভেঙে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের। তবে তাতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই বলেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিয়েছেন প্রায় সকলেই। টুইট করে ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি লেখেন,”গোটা দেশ ইসরোর বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত।”
উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুও ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছেন। টুইটে তিনি লেখেন, “ইসরোর শুধুমাত্র ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে ভারতবাসীর আশাহত করেননি তাঁরা।”
রাজনাথ সিংও ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যতটুকু পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে তার পুরো কৃতিত্ব বিজ্ঞানীদের বলেই টুইটে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের ফলই মিশন চন্দ্রযান ২। ইসরোর বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত বলেই টুইটে উল্লেখ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও হতাশ বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি লেখেন,”ইসরোর বিজ্ঞানীরা গোটা দেশের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁদের এতদিনের চেষ্টা মোটেও ব্যর্থ হয়নি।”
The post ‘আপনারা সফল’, ইসরোর হতাশ বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্বিত গোটা দেশ appeared first on Sangbad Pratidin.