সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া এবং সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ভোট মিটতেই ফের মাওবাদী পোস্টার ঘিরে তোলপাড় জঙ্গলমহল। ভোট গণনার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানার লালডাঙ্গার চাঁদাবিলা, মাধবপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি মাওবাদী পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে পোস্টারগুলি উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, এবারের পোস্টারগুলি আর হাতে লেখা নয়। বদলে ছাপার অক্ষরে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন নকশাল নেতারা।
ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা চাঁদাবিলা, মাধবপুর গ্রাম। শনিবার সকাল পাঁচটা নাগাদ গ্রামবাসীদের চোখে পড়ে পোস্টারগুলি। একাধিক দোকান বাড়ির গায়ে সাঁটানো ছিল এগুলি। পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এর পরই পুলিশের কাছে খবর যায়। তাঁরা এসে পোস্টারগুলি খুলে নিয়ে যান। ভোটের শেষেই এই পোস্টার পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর স্বাধীনতা দিবস থেকে মাঝে মধ্যেই মাওবাদী পোস্টার পড়ছে জঙ্গলমহল এলাকায়। কখনও জঙ্গলমহলের উন্নয়নের দাবি করা হচ্ছে তো কখনও আবার তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে পোস্টারে। এদিনের পোস্টারও ব্যতিক্রম নয়।
[আরও পড়ুন : টিকিট না পাওয়ায় খুনের পরিকল্পনা! মালদহের বিজেপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় ধৃত দলীয় নেতা]
উল্লেখ্য, গতবার পুজোর মুখে জঙ্গলমহলে আতঙ্ক ছড়ায় মাওবাদী পোস্টার ঘিরে। সিপিএম (মাওবাদী) প্রতিষ্ঠা সপ্তাহকে সামনে রেখে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মিলেছিল হুমকি পোস্টার, উদ্ধার হল একগুচ্ছ নথি। তবে মাওবাদীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করছে বলে খবর। তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার শুরু করেছে মাওবাদীরা (Maoist)। সবুজ পোশাক পরে মাও প্ল্যাটুনের সদস্যরা হাতে লাল ফেট্টি নিয়ে সাদ্রি ভাষায় (তামিল, ওড়িয়া ও হিন্দি ভাষার মিশ্রণ) লোকগান ও নাচে যুবক, যুবতীদেরকে দলে টানার আহ্বান জানাচ্ছে। আসলে, জঙ্গলমহলে জনভিত্তি না পেয়ে প্রায় এক দশক ধরে তারা বারবার ধাক্কা খাচ্ছে। বহুদিন পর তারা সম্প্রতি এই অঞ্চলে ব্যাপক হারে একদিনে একাধিক জায়গায় নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে পোস্টারিং, ব্যানার লাগানো-সহ প্রচারপত্র ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে অতীতের মত তারা সংগঠনকে কিছুতেই মজবুত করতে পারছে না।