সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী। সেই মার্গারেট আলভা (Margaret Alva) অভিযোগ করলেন, তাঁর ফোনে ‘বিগ ব্রাদার’ আড়ি পাতছে। ‘বিগ ব্রাদার’ বলতে কেন্দ্রীয় সরকারের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন মার্গারেট। তাঁর অভিযোগ, একাধিক বিজেপি (BJP) নেতা-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই তাঁর ফোনে আড়ি পাতা শুরু হয়েছে। বলেন, কিছু ক্ষেত্রে তাঁর কল অন্য নম্বরে চলে যাচ্ছে, অর্থাৎ কল ডাইভার্ট হচ্ছে। এর পেছনে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র দেখছেন তিনি। যদিও মার্গারেটের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির (Ajay Mishra Teni) মন্তব্য, হারবেন জেনে হতাশা থেকে এইসব বলছেন।
সোমবার তাঁর ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে টুইট করেন মার্গারেট। তাঁর অভিযোগ, ‘নতুন ভারতে’ সমস্ত রাজনৈতিক দলের উপর নজর রাখে ‘বিগ ব্রাদার’। তাঁর কথায়, “ভয়ে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা একধিক ফোন ব্যবহার করেন, ঘন ঘন নম্বর বদলে ফেলেন। এমনকী নিজেদের মধ্যে দেখা করলে ফিসফিস করে কথা বলেন তাঁরা।” মার্গারেট বলেন, “ভয় গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।”
গতকাল দুই সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল (BSNL) ও এমটিএনএলের (MTNL) উদ্দেশে টুইট করেন মার্গারেট। লেখেন, “বিজেপির কিছু বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার পরেই কল ডাইভার্ট হচ্ছে। ফলে কল রিসিভ করতে পারছি না।” কটাক্ষের সুরে বিরোধী উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী টুইট করেন, “আপনারা যদি আমার ফোন
আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন, কথা দিচ্ছি তাহলে আজ রাতে আর বিজেপি, টিএমসি (TMC) কিংবা বিজেডি (BJD) নেতাদের ফোন করব না।” ওই টুইটের সঙ্গে এমটিএনএল সংস্থার একটি নোটিসও পোস্ট করেন মার্গারেট। সেখানে দেখা যাচ্ছে সংস্থা তাঁর কেওয়াইসি চেয়েছে। উত্তরে মার্গারেট লিখেছেন, “এখনই আমার কেওয়াইসির প্রয়োজন পড়ল?”
যদিও মার্গারেট আলভার ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। উলটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির প্রশ্ন, তাঁর ফোন ট্যাপ করে কী লাভ? টেনির কথায় এসবই হতাশার বহিঃপ্রকাশ। টেনি বলেন, “হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরাই এমন কথা বলেন। তাঁর ফোন ট্যাপ করে কী লাভ? তাঁর জয়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই। হতাশা থেকেই মানুষ এই ধরনের বিবৃতি দেয়।”
উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেডি নেতৃত্বও নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। তাদের সঙ্গে মার্গারেট আলভা যোগাযোগ করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের স্বপক্ষে ভোটদানে রাজি করানোর জন্যে। এমনকী মার্গারেটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যাঁদের, সেই সব বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ করছেন বলে খবর।