সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো খবর নিয়ে নিজের দেশ তো বটেই, ভিনদেশের সরকারের থেকেও অনেক ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গকে। ভোটের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করার ব্যাপারেও দোষারোপ করা হয়েছে বহুবার। সেসব মুখ বুজে শুনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জুকারবার্গ। তবে এবার তিনি পালটা আক্রমণের পথ ধরলেন। তাঁর মতে, ইন্টারনেটে স্বচ্ছতা ও সত্য বজায় রাখার ভার একা ফেসবুকের হতে পারে না।
[আরও পড়ুন: গরমে যত খুশি এসি চালান, এই উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন বিদ্যুৎ বিল]
জুকারবার্গ বলেন, “ফেসবুক একটি বেসরকারি সংস্থা। আর আমার মনে হয় না একটি বেসরকারি সংস্থা হিসাবে আমরা এতদূর এগোতে পারি, যে ব্যবহারকারীদের বলব, এই কথাটা তুমি বলতে পারো না কারণ আমাদের মতে, এতে অন্য আরেকজনের প্রেক্ষিতে ভুল হচ্ছে বা প্রকৃত সত্য প্রকাশ হচ্ছে না।” তাই ফেসবুক কর্তার মতে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নেটদুনিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখার দায় সরকারেরও।
জুকারবার্গের এই মন্তব্য আসলে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষিতে। যেখানে ফেসবুককে ব্যবহার করে আমেরিকার ভোটারদের রাশিয়া প্রভাবিত করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই একটি মঞ্চে সাক্ষাৎকারে ফেসবুক কর্তা জানান, ফেসবুক বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সাহায্য নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ব্যাপারে একা ফেসবুক দোষী নয়। এর জন্য সরকারি নিষ্ক্রিয়তাও অনেকখানি দায়ী। তিনি আরও বলেন, “একটি বেসরকারি সংস্থা হিসাবে রাশিয়ার সরকারকে থামতে বলার ক্ষমতা বা থামানোর উপায় কোনওটাই আমাদের হাতে নেই। অথচ, আমেরিকার সরকার চাইলেই এই কাজটা সহজে করতে পারত। রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারত। কিন্তু তা করেনি। ২০১৬ সালে ওই অভিযোগের পরও মার্কিন প্রশাসনের তরফে কোনও পালটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রভাব বিস্তারকারীদের কাছে স্পষ্ট বার্তা গেল যে, চাইলে যেকোনও দেশ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারে। আর তা করলেও আমেরিকার সরকারের তরফ থেকে কোনও পালটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে না!
[আরও পড়ুন: ফের ধামাকা, মাত্র ৬০০ টাকায় ইন্টারনেট-টিভি-ল্যান্ডলাইন পরিষেবা দেবে জিও]
The post ইন্টারনেটে ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য দায়ী সরকারি নিষ্ক্রিয়তা, বিস্ফোরক জুকারবার্গ appeared first on Sangbad Pratidin.