সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহিত হয়েও অন্য সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা বেআইনি। এমন ঘটনায় পরিবারের মানহানি হয়। এমনই কারণ দেখিয়ে বিবাহিত অথচ লিভ-ইন করা যুগলকে পুলিশি রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলা (এক নম্বর মামলাকারী) ও তঁার লিভ-ইন (Live-in Relationship) সঙ্গী ৪৪ বছর বয়সি (দুনম্বর মামলাকারী) এক ব্যক্তি আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন। দাবি ছিল, তঁাদের পরিবারের সদস্যরা তঁাদের লিভ-ইন সম্পর্কে বাধা দিচ্ছেন। এমনকী হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন। জানা গিয়েছে, সন্তানের মা ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছিন্ন হলেও তঁার পুরুষসঙ্গীর স্ত্রী ও সন্তান আছে।
ওই ব্যক্তি ও মহিলার মধে্য প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে তঁারা নিজেদের পৈতৃক ভিটে ছেড়ে অন্যত্র লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন। আবেদনকারীদের আর্জি খারিজ করে বিচারপতি সন্দীপ মুদগিল বলেন, “এক পবিত্র বন্ধনের আইনি পরিণতি হল বিবাহ। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিপূর্ণ আমাদের দেশে নৈতিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখন আমরা অনেকেই পশ্চিমি সংস্কৃতিকে গ্রহণ করছি, যা ভারতীয় সংস্কৃতির থেকে অনেকটাই আলাদা। আজকাল আধুনিক জীবনে অভ্যস্ত অনেকেই লিভ-ইন রিলেশনশিপে বিশ্বাসী। তবে একজন বিবাহিত পুরুষ ও মহিলা বা একজন বিবাহিত মহিলা ও পুরুষ লিভ-ইন করলে তা ব্যভিচার হিসাবে গণ্য হবে। স্বামী বা স্ত্রী থাকার পরেও অন্য সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে থাকা বেআইনি। ডিভি আইনে এমন সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের কোনও আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না।”
[আরও পড়ুন: নীতি আয়োগে মাইক বন্ধ ইস্যুতে মমতার পাশে বিরোধীরা, অভিযোগ খারিজ কেন্দ্রের]
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের বক্তব্য, বিবাহিত কোনও ব্যক্তি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাস করলে তঁাদের পরিবারের সুনাম নষ্ট হয়। সম্মানের সঙ্গে বাবা-মায়ের বঁাচার অধিকার আইনে তঁারা বাবা-মায়ের সম্মানহানি করতে পারেন না। এই ধরনের সম্পর্কের জন্য আইনি রক্ষাকবচ দেওয়ার অর্থ তঁাদের স্ত্রী ও সন্তান যঁারা লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধিতা করেছেন তঁাদের প্রতি অন্যায় করা।