সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও গৃহবধূকে গৃহস্থালির কাজ করতে বলার অর্থ তাঁকে পরিচারিকার মতো দেখা হচ্ছে কিংবা এটা নিষ্ঠুরতা, কোনওটাই বলা যায় না। একটি মামলায় এমনটাই জানাল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এক মহিলা তাঁর বিচ্ছিন্ন স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা (Domestic violence) ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই এই মন্তব্য আদালতের।
বিচারপতি ভিভা কঙ্কনওয়াড়ি ও বিচারপতি রাজেশ পাটিলের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি। ওই মহিলার অভিযোগ ছিল, বিয়ের পর প্রথম এক মাস তাঁর সঙ্গে ভাল আচরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরই তাঁর সঙ্গে কার্যত পরিচারিকার মতো আচরণ করা শুরু হয়। সেই সঙ্গে বধূটির পরিবারকে চাপ দেওয়া হতে থাকে গাড়ি কেনার জন্য নগদ ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য। আর সেই সঙ্গে মহিলার অভিযোগ, এই দাবিদাওয়া আদায় করতে তাঁর উপরে অকথ্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা শুরু করেন তাঁর স্বামী।
[আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় নয়া সমীকরণ? ৬ বছর পর ফোঁটা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুকুল, গেলেন শোভন-বৈশাখীও]
আদালত এবিষয়ে মন্তব্য করার সময় জানায়, দেখা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর প্রতি নির্যাতনের অভিযোগ তুললেও ঠিক কী ধরনের অত্যাচার করা হত তাঁর উপরে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ”যদি কোনও বিবাহিত মহিলাকে ঘরের কাজ করতে বলা হয়, তবে মোটেই সেটাকে পরিচারিকার কাজ করতে বলা হচ্ছে বলে দেগে দেওয়া যায় না।”
আদালতের মতে, যদি গার্হস্থ্যের কাজ করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে মেয়েদের উচিত সেটা বরং বিয়ের আগেই বলে দেওয়া। সেক্ষেত্রে হবু স্বামীও বিয়ের বিষয়ে পাকা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখার সুযোগ পান। আর সেক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যারও উদ্রেক হয় না। এমনটা জানানোর পরই আদালতের তরফে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।