সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেনিস জীবনে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিত তাঁর র্যাকেটের শট। সেই মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার (Martina Navratilova) শরীরে জোড়া থাবা বসাল মারণ রোগ ক্যানসার। শরীরের দু’টি অংশে ক্যানসার ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি। গলা ও স্তন ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অসুস্থতার কথা জানান ৬৬ বছর বয়সি টেনিস তারকা। তবে নাভ্রাতিলোভা আশাবাদী, চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত সেরে উঠবেন।
গত বছর নভেম্বর মাসে ডব্লুটিএ ফাইনাল চলাকালীনই গলায় অস্বস্তি অনুভব করেন ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গলসের মালকিন। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, তাঁর গলায় একটি মাংসপিণ্ড তৈরি হয়েছে। বায়োপসি করে জানা যায়, নাভ্রাতিলোভার গলায় দানা বেঁধেছে ক্যানসার। একই সময়ে নাভ্রাতিলোভার স্তনেও পিণ্ড দেখা যায়, পরে সেখানেও ক্যানসার ধরা পড়ে। টেনিস তারকার এজেন্ট জানিয়েছেন, সামনের মাস থেকেই নাভ্রাতিলোভার চিকিৎসা শুরু হবে।
[আরও পড়ুন: লাদেনকে খুঁজে বের করেছিল, বিশ্বকাপের মেডেল পাহারা দিতে সেই কুকুরই কিনলেন মার্টিনেজ]
তবে এই প্রথমবার নয়। ২০১০ সালেও স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মার্কিন টেনিস তারকা। তবে ছয় মাসের মধ্যেই তাঁর শরীর থেকে ক্যানসার নির্মূল করা হয়। ৬৬ বছর বয়সে এসে জোড়া ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া বেশ জটিল ব্যাপার বলেই মনে করছেন নাভ্রাতিলোভা। তবে মারণ রোগকে ভয় পাচ্ছেন না তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছেন, “একসঙ্গে দুই জায়গায় ক্যানসার বেশ চিন্তার বিষয়। তবে সঠিক চিকিৎসা করলে সেরে যাবে। আপাতত কিছুদিন ভুগতে হবে, কিন্তু আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আশা করি, আবারও সুস্থ হয়ে উঠতে পারব।”
টেনিস কিংবদন্তির এজেন্ট জানিয়েছেন, “হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস প্রজাতির ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন নাভ্রাতিলোভা। এই ক্যানসারের চিকিৎসা করলেই সাধারণত সেরে যায়। যেহেতু একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়েছে, তাই উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমেই একেবারে সেরে উঠতে পারবেন তিনি।” প্রসঙ্গত, খেলোয়াড় জীবনে নাভ্রাতিলোভার অন্যতম প্রতিপক্ষ ক্রিস এভার্টও ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তিনিও ক্যানসারমুক্ত হয়েছেন।