সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিহত পুলওয়ামা হামলার চক্রী মাসুদ আজহার! জইশ-ই-মহম্মদ প্রধানের গাড়িতে বিস্ফোরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার ভারতের ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে। আইএসআইয়ের অঙ্গুলিহেলনে বারবার ভারতকে রক্তাক্ত করেছে জইশ। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী মাসুদ আজহার। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালের সংসদ ভবনে হামলা তথা ২০০৫ সালে অযোধ্যায় বিস্ফোরণ-সহ একাধিক নাশকতায় হাত রয়েছে আজহারের। আজ সোমবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে একটি গাড়ি বিস্ফোরণে তছনছ হতে দেখা গিয়েছে। নেটিজেনদের দাবি, ওই গাড়িতে ছিল মাসুদ আজহার। ভাওয়ালপুরের একটি মসজিদ থেকে আজ ভোর ৫টা নাগাদ ফিরছিল জইশ প্রধান। তখনই ঘটে যায় বিস্ফোরণ।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানে জেলের মধ্যে ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী সাজিদ মীর বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর আগে গত অক্টোবরে মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের সহযোগী মুফতি কায়সের ফারুককে করাচির রাস্তায় গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। পরের মাসে প্রায় একই কায়দায় করাচিতেই গুপ্তঘাতকদের হাতে নিহত হয় জইশ-প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ মৌলানা রহিমউল্লা তারিক। এবার কি তবে আজহারের পালা?
[আরও পড়ুন: বদলা নিল ইজরায়েল, খতম ৭ অক্টোবর হামলার নেতৃত্বে থাকা হামাস কমান্ডার]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পাকিস্তানে খুন হচ্ছে একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী। পড়শি দেশটিতে গত দুবছরে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত বারো জন জেহাদি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এরা প্রত্যেকেই ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে।
সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি বলে পরিচিত পাকিস্তান। ভারতে জেহাদের বিষ ছড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে ইসলামাবাদ। যেনতেন প্রকারে জম্মু ও কাশ্মীরের আবহাওয়া বিষিয়ে দিতে সচেষ্ট আইএসআই। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে মঞ্চস্থ হচ্ছে এক নতুন নাটক। এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, গত দুবছরে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে গুপ্তঘাতকরা। মৃত্যুবাণের শিকার হয়েছে অজ্ঞাত অন্তত বারো জন জেহাদি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ ও খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এরা প্রত্যেকেই ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই জল্পনার পালে হাওয়া লেগেছে। এই হত্যাগুলোর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, উঠছে প্রশ্ন।