নব্যেন্দু হাজরা: গাড়ি চালানো শিখছেন? ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে দিতে হয় অ্যাড্রেস প্রুফ বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র। পরিবহণ দপ্তরের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সাতটির মধ্য়ে যে কোনও একটি নথি দিতে হত এতদিন। এবার নথির সেই বিকল্প বেড়ে হল ১২টি। এই মর্মে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, এতদিন সাতটি নথি দিতে হত। এর মধ্যে রয়েছে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতির শংসাপত্র, যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাসবই, মাসিক বিদ্যুতের বিল, বিএসএনএলের ল্যান্ডফোনের মাসিক বিল, পুরসভা বা পুরনিগমে করপ্রদানের নথি, আধার। এছাড়া কেন্দ্রীয় বা রাজ্য বা কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থার কর্মীদের আইকার্ডও নথি হিসেবে ব্যবহার করা যেত। এই সাত নথির মধ্যে যে কোনও একটি নথি দিলেই মিলত ড্রাইভিং লাইসেন্স।
[আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়াই পুলিশি তল্লাশি, হাই কোর্টে শুভেন্দু-হিরণ]
সেই নির্দেশিকায় এবার বদল আনল রাজ্য। পরিবহন দপ্তরের জারি করা নথি বলছে, সাতের বদলে নথি বিকল্পের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১টি। তালিকায় রয়েছে, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট,রাজ্য-কেন্দ্র বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার আই কার্ড বা সার্ভিস সার্টিফিকেট, রাজ্য-কেন্দ্র বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পিপিও, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য সরকারি সার্টিফিকেট, বিদ্যুৎ-জল-ল্যান্ডলাইন টেলিফোন-পোস্ট পেড মোবাইল বিল, সম্পত্তি করের নথি, তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতির শংসাপত্র, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাসবই কিংবা ট্রেড লাইসেন্স দিলেও মিলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। আজ থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হচ্ছে।