সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: সন্তোষপুর স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দাউদাউ করে জ্বলছে প্ল্যাটফর্মের উপরে থাকা কমপক্ষে ১০ টি দোকান। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। ঘটনাস্থলে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় আপ ও ডাউন লাইনে বন্ধ রেল চলাচল।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অন্যান্যদিনের মতোই যাত্রীদের ভিড় ছিল শিয়ালদহ-বজবজ শাখার সন্তোষপুর স্টেশনে। আচমকাই ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থাকা দোকানে আগুন ধরে যায়। ঘিঞ্জি এলাকা, পাশাপাশি দোকান, ফলে দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে প্ল্যাটফর্মের উপরে থাকা কমপক্ষে ১০ টি দোকান দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। এদিকে আতঙ্কিত যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে স্টেশন সংলগ্ন বসতির বাসিন্দারা প্রাথমিকভাবে আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। খবর দেওয়া হয় দমকলে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের ঝাঁটাপেটা করার নিদান! এবার বিতর্কে তৃণমূলের সুজাতা মণ্ডল]
প্রথমেই ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন আয়ত্তে আনার কাজ। এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও আগুন আয়ত্তে আসেনি। সূত্রের খবর, আগুনকে আয়ত্তে আনতে বাড়ানো হচ্ছে ইঞ্জিন। এ বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, “আগুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও টি কে দত্ত বলেন, “আগুন লাগার কারণ বোঝা যাচ্ছে না। তবে ৮ টি ইঞ্জিন আনা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এদিনই বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল সাঁকরাইল থানা এলাকার রানী হাটি মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে বসা বাজারের প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি গুমটি দোকান। যাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অবশেষে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।