বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ফের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। মঙ্গলবার রাতে দাউদাউ করে জ্বলে উঠল কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের (Kalyani JNM Hospital) আইসোলেশন ওয়ার্ডে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুটি ইঞ্জিন। চলছে আগুন আয়ত্তে আনার কাজ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ। আচমকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হসপিটালের আইসোলেশনে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন (Fire)। খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আইসোলেশন সংলগ্ন কোভিড ওয়ার্ড ও জরুরি বিভাগ ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় হাসপাতাল। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয় পরিষেবা। আইসোলেশনে থাকা রোগীকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। দমকলের ২ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করা হয়। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ২ হাজারের বেশি, নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস]
জানা গিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হাসপাতালের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে জেএনএম হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, আগুন কীভাবে লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক রোগী ছিল তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ব্লকে করোনা (Coronavirus) ওয়ার্ডে আগুন লাগে। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকলেও হাসপাতালের কোনও কর্মী প্রথমে তা বুঝতে পারেননি। অন্য এক রোগী চিৎকার করতে থাকলে, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হয়। তড়িঘড়ি আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। অন্যান্য রোগীদের ওই ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক রোগীর।