অর্ণব আইচ: ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। চেতলায় (Chetla) ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই শিশু-সহ চারজন জখম হয়েছেন। তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
শুক্রবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ চেতলার ওই ঝুপড়ির একটি ঘর থেকে আচমকাই কালো ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পাওয়ামাত্রই একে একে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীকে। সরু পাইপের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। কীভাবে ঝুপড়িতে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে এই বিপত্তি ঘটেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘মাস্ক পরা অভ্যাসে পরিণত করুন, উৎসবে সতর্ক থাকুন’, একনজরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ৭ পয়েন্ট]
আগুনে ঝলসে যায় ওই ঝুপড়ির ঘরে থাকা চারজন। তাদের মধ্যে ২ জন শিশুও রয়েছে। প্রত্যেকেই বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি। সকলের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আগুন যাতে ভয়াবহ রূপ নিতে না পারে, তাই ঝুপড়ির ঘর থেকে সিলিন্ডার বের করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর তৎপরতাতেই জখমদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় বলেই দাবি স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই একাধিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী কলকাতা। নারকেলডাঙা, সল্টলেক এবং নিউটাউনের ঝুপড়িতে আগুন লেগে যায়। ক্ষয়ক্ষতিও হয় প্রচুর। তবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। দিনকয়েক আগে পার্ক সার্কাসের এক বিখ্যাত রেস্তরাঁয় আগুন লেগে যায়। উৎসবের মরশুমে ভিড়ে ঠাসা রেস্তরাঁয় দুপুরবেলা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট। সিরাজ রেস্তরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ঝুপড়িতে আগুন। জখম ২ শিশু-সহ চারজন।