রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মঙ্গলদ্বারি এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। দুর্ঘটনা নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, তা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। চলছে শাসক-বিরোধী অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকের মঙ্গলদ্বারি এলাকার পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা অফিস কার্যালয়ে বুধবার সন্ধেয় দলীয় নেতা-কর্মীরা যান। তবে রাত ১২টা নাগাদ আচমকাই দলীয় কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে NJP স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, হাইটেনশন তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ৫ সেনা জওয়ান]
শীতের রাতে বাড়ির ভিতরে ছিলেন স্থানীয়রা। বাইরে বেরিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার আগেই প্রায় ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা দলীয় কার্যালয়। ভস্মীভূত হয়ে যায় দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র, বহু নথি এবং কাগজপত্র। পুড়ে যায় দলীয় কার্যালয়ে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ-সহ দু’টি সিলিং ফ্যান। গভীর রাতে কে বা কারা আগুন লাগাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কীভাবেই বা আগুন লাগল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে, তা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজিত রায়। তিনি জানান, বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত মঙ্গলদ্বারির ওই শাখা অফিসে বৈঠক করা হয়। রাত ১২টা নাগাদ খবর যায় দলীয় শাখা অফিসে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পাঁশকুড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। সুজিতবাবুর দাবি, বিরোধীরা সমবায় ভোটে কোনওভাবে কিছু করে উঠতে পারছে না। তাই তারা একাজ করেছে। যদিও বিরোধীরা সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণের খোঁজ শুরু করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।