ধনরাজ তামাং, দার্জিলিং: সিংটাম চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই ১০৪ বছরের পুরনো বাংলো। রবিবার রাতে ওই বাংলোটিতে আগুন লাগে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেশ কিছুটা দেরি হয়। তার ফলে আগুনের লেলিহান শিখা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে গোটা বাংলোটি।
সিংটাম দার্জিলিং শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯০২ সালে ব্রিটিশরা সিংটামের চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোটি তৈরি করে। বর্তমানে সিংটাম চিকম্যান চা বাগানটি বন্ধ। তবে বাংলোটি পর্যটকদের আবাসস্থল হিসাবে কাজে লাগানো হয়। নিরিবিলিতে যাঁরা সময় কাটাতে ভালোবাসেন, এমন বহু পর্যটকই এই বাংলাতে ওঠেন। রবিবার মাঝরাতে শতাব্দী প্রাচীন ওই বাংলোতে আগুন লেগে যায়। কর্মীরা খবর দেয় দমকলে। তবে বাংলোয় পৌঁছনোর রাস্তার অবস্থা বেহাল। তাই দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেশ কিছুটা দেরি হয়। তাই নিমেষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাংলোটি। কীভাবে বাংলোটিতে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ জুন রাত সাড়ে নটা নাগাদ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে থাকা হলং বাংলোয় আগুন লেগে যায়। সেই সময় পর্যটক কেউ ছিলেন। তাই হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে পুড়ে ছাই হয়ে যায় শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যশালী বাংলো। পর্যটকরা তো বটেই, এই ঘটনায় বনকর্মীরা বিষণ্ণ, হতাশ হয়ে পড়েন। অগ্নিকাণ্ডের দিন তিনেক পর ভস্মীভূত হলং বাংলো পরিদর্শনে গিয়ে কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পুড়ে ছাই আরেক শতাব্দী প্রাচীন বাংলো। মনখারাপ সকলের।