সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবারও একই ঘটনার সাক্ষী মহানগর। বউবাজারের গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের পর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ। এবার আগুন লাগল এলআইসি বিল্ডিংয়ে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁরা বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। রবিবার বেলার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন যাবে ফরেনসিক আধিকারিকরা।
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত তিনটে। আচমকাই ২২ নম্বর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে এলআইসি বিল্ডিংয়ের চারতলার ক্যান্টিনে আগুন লেগে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, সেই সময় বহুতলের চারতলায় বেশ কয়েকজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। বিকট চিৎকারের পাশাপাশি নিমেষের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ১০০ নম্বরে ফোন করেন স্থানীয়রা। জরুরি ফোন পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয় পুলিশ। আসে দমকলও। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। চারতলার এলআইসি বিল্ডিংয়ে আটকে পড়া তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
এদিকে, দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কীভাবে এলআইসি বিল্ডিংয়ে আগুন লাগল, সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রবিবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে ফরেনসিক দল। এলআইসি বিল্ডিংয়ের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: খাঁটি বাঙালিয়ানা! ধুতি-পাঞ্জাবি পরে মহাষষ্ঠীতে ভারচুয়াল মাতৃবন্দনা করবেন মোদি]
এর আগে শুক্রবার রাতে বউবাজারের গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি বহুতলে আগুন লেগে যায়। ক্রমে আটতলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় লেলিহান শিখা। গভীররাতে এই ঘটনা ঘটায়, অধিকাংশ বাসিন্দারা সেই সময় ঘরেই ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি টের পেয়ে আতঙ্কে ছাদে উঠে যান অনেকে। তার মধ্যে ১৪ বছরের এক কিশোর স্রেফ ভয়ে ৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় নিচে। রাতেই তাকে হাসপাতাল ভরতি করা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে নাবালকের মৃত্যু হয়। সাততলার একটি ফ্ল্যাটের শৌচাগারে আটকে পড়েছিলেন এক বৃদ্ধা। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁরও। ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলআইসি বিল্ডিং।