দীপালি সেন: সপ্তাহান্তে লেকটাউনের (Lake Town) বাঙুর এলাকায় ভয়াবহ আগুন। পেট্রল পাম্পের পাশের একটি দোকানের ব্যানারে আগুন (Fire)লাগে। তা ছড়িয়ে পড়েছে দোকানের উপরের আবাসনেও। ছড়িয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারপাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি।
রবিবার বিকেলের দিকে কলকাতায় ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় একটি দোকানের ব্যানার খুলে উড়ছিল। সন্ধে ৬টা নাগাদ আচমকা সেখানেই আগুন লেগে যায়। ল্যাম্পপোস্ট (Lamp post) থেকে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দোকানের উপরের আবাসনে। এর পাশেই রয়েছে পেট্রল পাম্প। সেখানে আগুন ছড়ালে মহা বিপদ। আর সেই কারণে আগুন দ্রুত নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাই দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ৮ টি ইঞ্জিন কাজ করছে। বহুতল আবাসনটি পাশের রাস্তা ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকল কর্মীদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়…’, চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে মুগ্ধ শ্রীলেখা, একটাই ইচ্ছে অভিনেত্রীর]
কীভাবে ওই দোকানের ব্যানারে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল কর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দমকলের গাড়ির ছাদ থেকে হোস পাইপ দিয়ে জল ছোঁড়া হচ্ছে। প্রয়োজনে হাইড্রলিক ল্যাডারও ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। বহুতল আবাসনটি দোতলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুজিত বসু। অগ্নিকাণ্ডের জেরে যশোর রোডে যান চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে।