সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারের বিকেল। সাধারণত কালীপুজোর জন্য শুভ দিন। তার উপর রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে (By-election) জোড়া জয় এসেছে তৃণমূলের অন্দরে। আনন্দ, উচ্ছ্বাসে মেতে দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। এই জয়ের কাণ্ডারী যিনি, দলের সেই সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ভোটের ফলপ্রকাশের পর ছুটে গেলেন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে। বললেন, ”আজ দুপুরে জেতার পর হঠাৎ মনে হল, মা কথা রেখেছেন। তাই কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই মায়ের কাছে চলে এলাম। আসলে বালিগঞ্জের বাবুলের জয়ের মার্জিন যখন কমছিল, তখন মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম। শেষমেশ ভোটের ব্যবধান বেড়েছে। তাতেই মনে হল, মা আমার প্রার্থনা শুনেছেন।”
আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জিতেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাবুল সুপ্রিয়। তার মধ্যে বেশি উল্লেখযোগ্য আসানসোলে প্রথমবার জোড়াফুল ফোটা। এর আগে আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রে বরাবরই বিজেপি জিতেছে। এদিকে, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় জনসমর্থন নিয়ে জিতেছেন বাবুল সুপ্রিয়। জোড়া জয়ে স্বভাবতই খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর বিলম্ব না করে এদিনই ছুটে গেলেন কালীঘাট মন্দিরে। নিষ্ঠাভরে দিলেন পুজো।
এদিন বিকেলে নীল-সাদা শাড়ি পরে বাড়ির বাইরে আসেন তৃণমূল নেত্রী। হাসিমুখে বলেন, ”সকলের আশীর্বাদ, ভালবাসা পেয়েছি। আমাদের প্রার্থীদের জিতিয়েছেন জনতা। আমাদের প্রত্যয় আরও বাড়ল। আরও ভালভাবে আপনাদের সেবা করতে পারব। কোনও অপপ্রচারে পা দেবেন না কেউ।”
[আরও পড়ুন: হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড: তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেপ্তারি, জালে সোহেলের বন্ধু]
পয়লা বৈশাখের আগের সন্ধেবেলাও কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার জন্য, বাংলার মানুষের জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। সকলের জন্য শুভকামনা করেন। এরপর মাত্র একদিনের ব্যবধানেই তিনি ফের কালীঘাটে, দেবীর দরবারে ছুটে এলেন। দলের জয় উৎসর্গ করলেন মা কালীকে। এভাবেই নিজের দল, রাজনৈতিক কেরিয়ারে সাফল্যে মিলেমিশে যায় তাঁর আধ্যাত্মবোধ।