সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) জলাশয়ে শিবলিঙ্গ রয়েছে! সেখানে ভিডিওগ্রাফির পর আদালতে এমন দাবিই করেন আইনজীবী। এরপর ওই এলাকা সিল করার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের আদালত। এবার মথুরার (Mathura) একটি আদালত একই ধরনের মামলা শুনতে রাজি হল। ওই মামলায় মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি লাগোয়া বিতর্কিত শাহি ইদগাহ মসজিদের (Shahi Idgah Mosque) ভিডিওগ্রাফির দাবি করা হয়েছে।
মামলা করেছেন মণীশ যাদব, মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং ও দীনেশ শর্মা। মামলাকারীদের দাবি, ইদগাহ মসজিদ অবিলম্বে সিল করতে হবে। না হলে সেখানে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তা সরিয়ে ফেলাও হতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির একটি অংশ ধ্বংস করেই সেখানে মসজিদ গড়ে উঠেছিল। মূল এলাকা ১৩.৩৭ একর। ফলে সেখানে হিন্দু ধর্মের হাজারও নিদর্শন রয়েছে। ইতিমধ্যে যার বেশ কিছু নষ্ট করা হয়েছে। মামলাকারীরা চান, মসজিদ উচ্ছেদ করে দ্রুত মন্দিরের সমগ্র ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিচ্ছু পায়নি CBI, দাবি চিদম্বরের, আর কতবার? প্রশ্ন কার্তির]
মথুরার ওই আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে। ১ জুলাই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী এই মামলার দ্রুত শুনানি চাইছেন। এইসঙ্গে মসজিদের ভিডিওগ্রাফির দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ইদগাহের ভিতরের শিলালিপিগুলি মুছে ফেলতে, প্রমাণগুলি ধ্বংস করতে পারে অন্য পক্ষ। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফি করা উচিত এবং যাবতীয় তথ্য রেকর্ড করা উচিত। যদিও ইদগাহ মসজিদ কর্তৃপক্ষ মামলাকারীদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস ইস্যুতে নাক গলানোর চেষ্টা পাকিস্তানের, কড়া জবাব ভারতের]
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদে তিনদিন ধরে ভিডিওগ্রাফি হয়। সেই ভিডিওগ্রাফিতে দেখা যায়, মসজিদের অন্দরের জলাশয়ে যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ওজু করতেন, সেখানে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। জলাশয়ের ভিডিওগ্রাফির জন্য সমস্ত জল বের করে দেওয়া হয়েছিল। তখনই শিবলিঙ্গের উপস্থিতি ধরা পড়ে বলে দাবি। সেই তথ্য আদালতে জানান আইনজীবী বিষ্ণু জৈন। এর পরই ওই জলাশয়টি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, শিবলিঙ্গটির উচ্চতা ১২ ফুট, ব্যাস ৮ ইঞ্চি।