সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাইনচ্যুত হয়ে মথুরা প্ল্যাটফর্মে উঠে গিয়েছিল EMU ট্রেন। মঙ্গলবার রাতে যে ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। আহতও হন এক মহিলা। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনার ভিডিও। আর এবার প্রকাশ্যে এল আরও একটি ভিডিও। যেখানে অপারেটরের গাফিলতি এবং অবহেলা কার্যত স্পষ্ট।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তারই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ট্রেনের সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, লোকো পাইলট নিজের ডিউটি শেষে ট্রেনের ইঞ্জিন কেবিন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর শচীন নামের এক রেলকর্মী ভিডিও কল করতে করতেই কেবিনে প্রবেশ করেন। এর পর অতি অবহেলার সঙ্গে সটান ইঞ্জিনের থ্রটলের উপর নিজের পিঠের ব্যাগটি রাখেন তিনি। আবার ব্যস্ত হয়ে যান ভিডিও কলে।
[আরও পড়ুন: পুজোর মুখে খাস কলকাতায় চুরি! আড়াই লক্ষ টাকা ও গয়না নিয়ে উধাও মহিলা]
থ্রটলের উপর ব্যাগ রাখার কারণেই ঘটে যাবতীয় বিপত্তি। ব্যাগের চাপেই থ্রটলটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর তার জেরেই এগিয়ে যায় ট্রেন এবং ইঞ্জিনের অনেকটা অংশ মথুরা প্ল্যাটফর্মে উঠে যায়। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার তেজপ্রকাশ আগরওয়াল জানান, ইতিমধ্যেই শচীন-সহ মোট পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, মোবাইল হাতে কেবিনে প্রবেশের সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন শচীন বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মথুরা স্টেশন ডিরেক্টর সঞ্জীব শ্রীবস্তব জানান, যে পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিলেন এবং ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এ ঘটনায় রেলকর্মীদের গাফিলতির ছবিটা পরিষ্কার।