shono
Advertisement

Breaking News

ধর্মমেলার সভাতেও CAA নিয়ে মুখে কুলুপ প্রধানমন্ত্রীর, বেজায় চটেছেন মতুয়ারা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে মতুয়া রাজনীতি।
Posted: 08:08 PM Mar 30, 2022Updated: 08:08 PM Mar 30, 2022

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নীরব থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়াদের মধ্যে। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী মতুয়া মহা ধর্মমেলা উপলক্ষে ভারচুয়াল সভা করেন। মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করতে হবে। কিন্তু বক্তৃতায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি শব্দও খরচ করেননি। আর তাতেই বেজায় চটেছেন মতুয়া ভক্তরা।

Advertisement

তাঁদের একাংশ বলছেন, “লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমরা তাঁকে ভরসা করেছিলাম। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ভোটও দিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম, সিএএ কার্যকর কবে করবেন, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বক্তব্য দেবেন মঙ্গলবারে সভা থেকে। কিন্তু তিনি তা করেননি। তা দেখে আমরা হতাশ।”

[আরও পড়ুন: মাও যোগের অভিযোগ, নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী]

বুধবার টুইট করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুভেচ্ছা বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর টুইট বার্তা পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মতুয়ারা। এ বিষয়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, “হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সরকারি ছুটির ঘোষণা করেছে। এজন্য একবার নয়, অসংখ্যবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ মতুয়া সমাজের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আপ্লুত এবং কৃতজ্ঞ।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছাবার্তাকে পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করেছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন” মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেছেন ভাল কথা। উনি সিএএ সমর্থন করলে তাঁকে আমরা কুর্নিশ জানাব।”

 

এদিন দুপুরে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল ঠাকুর বাড়িতে আসেন। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস, বনগাঁ দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস-সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। শান্তনুকে পালটা দিয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস। বলেন, “মতুয়ারা এদেশের ভোটার। তাঁরা ভারতের বাসিন্দা। তাঁরাই ভোট দিয়ে বিধায়ক-সংসদ নির্বাচন করেন। তাঁরা নাগরিক না হলে আমাদের নির্বাচনও তো অবৈধ হয়ে যায়।”

[আরও পড়ুন:  মূল্যবৃদ্ধির ক্ষতে প্রলেপ! সরকারি কর্মচারীদের DA বাড়াল কেন্দ্র]

মমতা ঠাকুরও বলেন, “মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী যে ভারচুয়াল সভায় বক্তৃতা দিয়েছেন সেখানে সিএএ নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এর থেকেই বোঝা যায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপি মতুয়াদের ভাওতা দিচ্ছে ।” যদিও একথা মানতে চাননি অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের মহাসংঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর। তিনি বলেন, “ভারচুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রীকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বলতে হবে তার কোনও মানে নেইয। সিএএ নিয়ে কথা বলার জায়গা পরিবেশ পরিস্থিতি আলাদা।” সবমিলিয়ে মতুয়া মহা মেলা চলাকালীন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে মতুয়া রাজনীতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement