সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাইনি অপবাদে এক কিশোরীর উপর নির্মম অত্যাচার চালাল এক মৌলানা। নিজের বাড়িতে চারদিন ধরে আটকে রেখে মারধর করে, ধূপকাঠির ছ্যাঁকা দিয়ে ভূত ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল ওই মৌলানা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ছাতরা জেলায়। অভিযুক্ত মৌলানার নাম মহম্মদ ওয়াহিদ। তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ওই কিশোরী।
বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিল ১৪ বছর বয়সি ওই কিশোরী। হোলি খেলার পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার মা-বাবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু সেই সময় হাজির হয় মৌলানা। কিশোরীর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, মৌলানা দাবি করে ওই কিশোরীকে সুস্থ করে দেবে। মৌলানা আরও বলে, ভূতে ধরেছে ওই কিশোরীকে। ভূত (Exorcism) ছাড়ালেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে মেয়েটি। সেই ভরসাতেই মৌলানার কাছে মেয়েকে পাঠিয়ে দেন কিশোরীর মা-বাবা। মৌলানা জানায়, সুস্থ হলেই মেয়েটিকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যাবে সে।
[আরও পড়ুন: ভারতের আকাশেই ফাটল চিনা রকেট, চাঞ্চল্য মহারাষ্ট্রে]
কিন্তু তারপরেই ঘটে বিপত্তি। চারদিন পরেও মেয়েটি বাড়ি ফেরে না। খোঁজ করলে জানা যায়, মৌলানা নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছে মেয়েটিকে। ঝাড়ফুঁক (Exorcist Activities) করতে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয় মেয়েটিকে। জ্বলন্ত ধূপকাঠি দিয়ে মেয়েটির হাতে, পায়ে, ঠোঁটে ছ্যাঁকা দেয় ৩৫ বছর বয়সি অভিযুক্ত ওই মৌলানা। ভূত ছাড়ানোর নাম করে বেঁধে রাখা হয় কিশোরীকে। এই নৃশংস অত্যাচারের ফলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী।
মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সেই কিশোরীকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই তাকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানী রাঁচিতে। স্থানীয় পুলিশ পকসো আইনের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে মৌলানাকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এরকম মৌলানাদের খোঁজে তল্লাশি চালাবে পুলিশ। নয়তো আরও অনেক কিশোর-কিশোরী এই ভাবেই নির্যাতিত হবে বলে মনে করে স্থানীয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ডামাডোল বঙ্গ বিজেপিতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা]