অভিরূপ দাস: ডাক পেয়েছিলেন। এসে পৌঁছতে পারেননি। হাতে গোনা কাউন্সিলরদের নিয়েই কলকাতা পুরসভায় শহরের জল জমা সমস্যা মেটানোর বৈঠক করলেন মেয়র পারিষদ তারক সিং। যা নিয়ে সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বর্ষার জল নিকাশিতে কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোতে সব মিলিয়ে ৫৭৯ টি পাম্প চলে। তাও বর্ষায় শহরে জল জমার অভিযোগ ভুরি ভুরি। সেই সমস্যা সমাধানে কলকাতা পুরসভায় সোমবার বৈঠক ডেকেছিলেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং। দেখা গিয়েছে, সোমবারের সেই বৈঠকে গরহাজির সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলর।
সোমবার কলকাতা পুরসভার (KMC) বৈঠকের শুরুতে দেখা যায় অধিকাংশ চেয়ারই খালি। মেয়র পারিষদ-সহ নিকাশি দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা মিটিং শুরু করেছেন সময়মতো। বৈঠক শেষেও দেখা পাওয়া যায়নি শাসকদলের অধিকাংশ কাউন্সিলরকে (Councilor)! সূত্রের খবর, যে সমস্ত এলাকায় ‘পাম্প’ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে সেখানকার কাউন্সিলরদের ডাকা হয়েছিল এদিন। সব মিলিয়ে ৫৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ডাকা হয়েছিল। বৈঠকের শুরুতে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতি নিয়ে মেজাজ হারান মেয়র পারিষদ (MIC)। তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও কাউন্সিলর বলেন, পাম্প পাচ্ছি না। কেউ বলেন পাম্প পেয়েছি, কিন্তু পাম্প চালানোর লোক নেই। অনেকে বলেন, লোক থাকলেও তেল নেই। এই সমস্যাগুলো যাতে এই বর্ষায় না হয় সে জন্য এই বৈঠকটা ডাকা হয়েছে। কিন্তু এখানে দেখছি কাউন্সিলরদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। ৫৪ জন কাউন্সিলর ডেকেছিলাম। মেরেকেটে এসেছেন জনা ১৫।’’
[আরও পড়ুন: লোকসভা স্পিকার বাছতে ঐকমত্যের আহ্বান, খাড়গে-মমতা-অখিলেশকে ফোন রাজনাথ সিংয়ের]
হতাশ মেয়র পারিষদের কথায়, ‘‘এই যদি উপস্থিতির হার হয় তাহলে কিছু বলার নেই।’’ যদিও কলকাতা পুরসভায় বামেদের (Left Front) দুজন কাউন্সিলরই হাজির ছিলেন এদিন। ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম (CPM) কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব জানিয়েছেন, ''বর্ষা দুয়ারে। এখন এই ধরনের বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। মেয়র পারিষদ হোয়াটস অ্যাপে বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন। নিজের এলাকার জল জমার সমস্যা কমাতে না পারলে সেটা কাউন্সিলরের ব্যর্থতা। সেই কারণেই আমি এসেছি। যাঁদের ডাকা হয়েছিল, তাঁদের সকলের আসা উচিত ছিল।'' তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরদের মধ্যে বৈঠকে ছিলেন মেয়র পারিষদ অসীম বসু, কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে, গোপাল রায়, বসুন্ধরা গোস্বামী, লিপিকা মান্না, রঞ্জিত শীল-সহ অন্যান্যরা।