সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় একসঙ্গে কাজ করতেন তাঁরা। প্রশান্ত কিশোরের সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি নীতীশ কুমারের হাত ধরেই। সেই প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) আর নীতীশ কুমারের সম্পর্ক এখন আদায়-কাঁচকলায়। একে অপরের দিকে রীতিমতো কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছেন তাঁরা। পিকে যেমন নীতীশের শিবির বদলকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। নীতীশ (Nitish Kumar) আবার তেমন পিকে-কে বলছেন ধান্দাবাজ।
আসলে দিন দুই আগে প্রশান্ত বলেছিলেন, নীতীশ কুমার ‘পক্ষ’ থেকে ‘বিপক্ষে’ এলেও জাতীয় রাজনীতিতে তার খুব একটা প্রভাব পড়বে না। এটা একটা রাজ্যের ব্যাপার। এই পরিবর্তনেও জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ খুব একটা বদলাবে না। তবে যে কেউ চেষ্টা করতেই পারে। বস্তুত, বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার পরই নীতীশ যেভাবে নিজেকে জাতীয় স্তরের নেতা হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, সেটাকে একপ্রকার কটাক্ষই করেছেন তাঁর একসময়ের ছায়াসঙ্গী। তাছাড়া নীতীশের আমলে বিহারে আদৌ কতটা কী উন্নতি হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন এই বিখ্যাত ভোটকুশলী।
[আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুতে নেই মাথাগোঁজার ঠাঁই! এক রাতের হোটেল ভাড়া ৪০ হাজার]
নিজের একসময়ের সতীর্থের এই কটাক্ষ অবশ্য মুখ বুজে হজম করেননি নীতীশ কুমারও। তিনি আবার পালটা পিকে-কে (PK) ধান্দাবাজ বা ব্যবসায়ী বলে তোপ দেগে দিয়েছেন। নীতীশের বক্তব্য, পিকে একজন ব্যবসায়ী। যখন আমার সঙ্গে ছিল, তখন বলেছিলাম, নিজের পেশা ছেড়ে এসে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করো। কিন্তু ও তাতে রাজি হয়নি। আসলে ও রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করে। ও কী বলল তাতে কিছু যায়-আসে না। এরপরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘প্রশান্ত এতকিছু বলছেন মানে নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য আছে। হয়তো ও এবার বিজেপির হয়ে কাজ করবে। বা গোপনে বিজেপিকে সাহায্য করবে।’
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদ! আধিকারিক পরিচয়ে অমিত শাহর কাছে ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তি]
উল্লেখ্য, নীতীশ বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় স্তরে বৃহত্তর বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টায় আছেন। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শরদ পওয়ার, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের মতো নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আসলে নীতীশ বিরোধী শিবিরে ফেরার পর থেকেই নিজেকে বিরোধী শিবিরের মুখ হিসাবে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পিকে অবশ্য তাঁকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।