স্টাফ রিপোর্টার: স্যাংশনড প্ল্যান নিয়ে বাড়ি উঠছিল। সেখানেও ৪০১-এর নোটিস পাঠিয়েছেন কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইন্সপেক্টর! যা দেওয়া হয় বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে। এ ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “ইন্সপেক্টরগুলো টাকা খেতে যায়। টাকা যখন পায় না তখন এইভাবে লোককে উত্ত্যক্ত করে। এগুলো করবেন না।"
উত্তর কলকাতার বড়বাজারে এই ঘটনায় ৪ নম্বর বরোর ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে এদিন মেয়র বলেন, "কেন স্যাংশনড প্ল্যান থাকা সত্ত্বেও ওই ইন্সপেক্টর ৪০১-এর নোটিস দিয়ে কাজ আটকে দিয়েছে। যে ইন্সপেক্টর এটা করেছে তাঁকে কারণ দেখাতে বলুন। নয়তো শোকজ করুন।"
[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে চোখ হারাতে বসেছিলেন, এবার ভিনরাজ্যে চিকিৎসা হবে সেই পুলিশকর্মীর]
বড়বাজারের রবীন্দ্র সরণির এই ঘটনায় পরিষ্কার, বার বার বলা সত্ত্বেও মেয়রের কথা কানে তুলছেন না বিল্ডিং বিভাগের ইন্সপেক্টররা। সে কারণেই এদিন মেয়রের দ্বারস্থ হন আনমোল পরেশরাম পুদিয়া। ২৭২ রবীন্দ্র সরণির বাসিন্দা কলকাতা পুরসভার অনুমোদন নিয়ে বাড়ি করছেন। স্যাংশনড প্ল্যান নম্বর ৩৯৩এ ইউডিবি।
আনমোলের অভিযোগ, "একশো শতাংশ অনুমতি নিয়ে বাড়ি করছি। মাঝে একজন এসে টাকা চেয়েছিল, দিইনি। এখন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টরের সঙ্গে মিলে আমায় ৪০১- এর নোটিস দিয়েছে।" এদিন মেয়র তাঁকে নিশ্চিন্ত করে বলেন, "স্যাংশনড প্ল্যান নিয়েছেন। এবার আমার দায়িত্ব আপনি যাতে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন। যে কাজে বাধা দেবে তাকে গ্রেপ্তার করাব।"
কেন স্যাংশন নেওয়ার পরেও বেআইনি নির্মাণের নোটিস? সংশ্লিষ্ট বরোর ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, উনি পিছনের দিকে সামান্য অংশ বাড়িয়েছেন। তবে নিয়ম বলছে, তাতেও ৪০১-এর নোটিস দেওয়া যায় না। মেয়র জানিয়েছেন, "সামান্য বেআইনি হলে 'রুল ২৫' আছে। নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে অনেকেরই সামান্য ভুলত্রুটি হয়। সেক্ষেত্রে রুল ২৫ বলবৎ করে সেটাকে আইনি পথে আনা যায়। শুধুমাত্র বড়সড় ত্রুটি, কিংবা সম্পূর্ণ বিল্ডিং বেআইনি হলে তার জন্য ৪০১-এর নোটিস দেওয়া হয়।
সমস্ত ইন্সপেক্টরদের প্রতি ফিরহাদের আবেদন, "এই করে কলকাতা পুরসভার ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। আপনাদের তো সন্তান রয়েছে। এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের সন্তানকে তার বন্ধুরা বলে, তোর বাবা চোরপোরেশনে কাজ করে।"