ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ৩০ অক্টোবর। রাত এগারোটা। বছর একুশের এক যুবকের ডান হাত থেকে রক্ত টপটপ করে পড়ছে। ওই অবস্থায় এসে হাজির হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন যুবকের ডান হাতের কড়ে আঙুল কাটা। আঙুলটি তাঁর জিম্মায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শুরু হল কাটা আঙুল জুড়ে দেওয়া বা রি ইমপ্ল্যান্টের কাজ। প্রায় ছঘণ্টা পর কাটা আঙুল জোড়ার কাজ শেষ হল কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার করেন ডা. অখিলেশকুমার আগরওয়াল।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে ওই রাতে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা সাহিলকুমার পাল বাড়ির লিফ্টে আঙুল কেটে যায়। মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে হাজির হন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সাহিল জানিয়েছে, রাতে অফিস থেকে বাড়িতে ঢোকার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারপরে সোজা হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: নজরে চিনের সাবমেরিন বাহিনী, ভারতের হাতে ডুবোজাহাজ-ধ্বংসী অত্যাধুনিক যান]
ডা. আগরওয়ালের কথায়, “প্রথমে কাটা আঙুলটি ভালো করে জল দিয়ে পরিষ্কার করে বরফের মধ্যে রাখা হয়। একইসময়ে হাতের রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ভালো করে ব্যান্ডেজ করা হয়। তার পরেই শুরু হয় কাটা আঙুল জোড়ার কাজ।” হুবহু আগের মতোই কাজ করছে আঙুল। ৫ নভেম্বর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আট সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন তিনি। সাহিলের আঙুল স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি মেডিকা গ্রুপের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর অয়নাভ দেবগুপ্ত।