অভিরূপ দাস: কয়েকদিন ধরেই চলছিল অশান্তি। তবে সোমবার সামান্য স্তিমিত হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের উত্তাল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ (R.G.Kar Medical College)। সুপার, ডেপুটি সুপার, অধ্যক্ষকে ঘেরাও করলেন হবু ডাক্তাররা। কোন দাবিতে ঘেরাও? তা নিয়েই অন্ধকারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বারংবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের লিখিতভাবে তাদের দাবিগুলো জানাতে বলা হলেও অনড় তাঁরা, দাবি হাসপাতালের।
আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথায়, “আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।” কম বেশি আটশো ডাক্তারি পড়ুয়া একটি ঘরের মধ্যে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি হয়ে আলোচনায় বসতে চান! এমন উদ্ভট দাবি শুনে হতবাক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, করোনা আবহে একসঙ্গে অতজনের সঙ্গে বৈঠক করা সমীচিন নয়। করোনা (Coronavirus) আবহে যেখানে আমরা শারীরিক দুরত্ব মেনে চলার প্রচার করছি। সেখানে চিকিৎসক হয়ে নিজেরা সেই নিয়ম কীভাবে লঙ্ঘন করব?
[আরো পড়ুন: আদালতগুলিতে কেন বছরের পর বছর ঝুলে মামলা? রাজ্যের হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট]
সোমবার একদফায় অশান্তি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ অচলাবস্থা কাটাতে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। চিকিৎসক পড়ুয়াদের বক্তব্য, সকলের পরিচয়পত্র নেই। কলেজের ছাত্রের প্রমাণ হিসাবে ভরতির রসিদ বা অন্য কোনও নথি দেখা হোক। কিন্তু পরিচয় পত্র দেখানোর প্রশ্নে কর্তৃপক্ষ অনড় থাকায় ফের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্ররা।
হাসপাতালের দাবি, অতিবাম ছাত্র সংগঠনের কিছু ডাক্তারি পড়ুয়া অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। আন্দোলনে ডাক্তারি পড়ুয়ার সংখ্যা হাতেগোনা। ঢুকে রয়েছে প্রচুর ইন্টার্ন এবং হাউসস্টাফ। অনেকেই এমন রয়েছে যারা আদৌ এই কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয়। পরিচয় পত্র না থাকায় তাঁরাই অশান্তি করছে। আন্দোলনরত ডাক্তাররা জানিয়েছেন, গত দু’মাসে মেডিক্যাল কলেজে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার জেরে অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।