অরূপ বসাক, মালবাজার: দূষণ নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। সময় যত যাচ্ছে, ততই পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের মালবাজার এলাকায় সেই দূষণের ছবি ধরা পড়ল। প্রশাসন ও পুরসভার নজরদারির আড়ালে থানার সামনেই ওষুধের দোকানের বর্জ্য পদার্থ ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ, যাতে ছড়াচ্ছে দূষণ। একেই শহরে ডেঙ্গুর দাপটে প্রশাসনের চিন্তা বাড়ছে। তারউপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় দূষিত বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকায় যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া।
মালবাজার থানা এলাকায় দিনভর বিভিন্ন জায়গার মানুষজনের ভিড় থাকে। কাজের ফাঁকে অনেকেই এসে বসেন থানার সামনের ফুটপাথে। আর তার পিছনেই নিচু অংশে দীর্ঘদিন ধরেই জমা করা হচ্ছে ওষুধের দোকানের বর্জ্য পদার্থ। সকাল হতেই এসব বর্জ্য ফেলা হচ্ছে থানার ঠিক সামনেই। অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকরা দেখেও কিছু বলেন না। থানা ও হাসপাতালের উলটোদিকে ওষুধের দোকানের অধিকাংশই তাঁদের দোকানের বর্জ্য পদার্থ ভোর হতেই ফেলে যায় মালবাজার থানার গেটের পাশে।
[ আরও পড়ুন: দিল্লির দূষণকে টপকে গেল বর্ধমান-আসানসোল, আশ্চর্যজনকভাবে ভাল বাতাস দুর্গাপুরে]
অভিযোগ, পুরসভার তরফে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করার গাড়ি থাকলেও সেই গাড়িতে দোকানিরা তা ফেলেন না।আবার উলটোদিকে ওষুধের দোকানের মালিকদের বক্তব্য, দোকান খোলার অনেক আগেই পুরসভার বর্জ্য নেওয়ার গাড়িগুলি চলে যায়।
মালবাজার শহর জুড়ে যখন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে পুরসভার তরফে, তার আড়ালেই বর্জ্য পদার্থ ফেলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ঠিক থানার সামনেই। এ বিষয়ে মালবাজার মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মোহিত রঞ্জন শিকদার বলেন, ‘এমনিতেই এখানে ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তিত সবাই। তারপর থানার মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সামনেই এমন বর্জ্য পদার্থ জমে থাকায় সমালোচনা তো হবেই।’
মালবাজার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস চক্রবর্তীর কথায়, ‘বিষয়টা এর আগে নজরে আসেনি কখনও। এই চিত্র দেখে চিন্তিত। পুরসভার সঙ্গে কথা বলব।’ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, ‘পুরসভার যে গাড়ি ময়লা আবর্জানা ফেলে সেই গাড়িতে এসব বর্জ্য পদার্থ ফেলে দিলেই আর এই পরিস্থিতি হয় না। আমরা সমস্ত দোকানদারদের কাছে আবেদন করছি, এইভাবে শহর নোংরা করবেন না।’
[ আরও পড়ুন: বিষাক্ত গ্যাস ছড়াচ্ছে পাকিস্তান, তার জেরেই দিল্লির দূষণ! আজব দাবি বিজেপি নেতার]
The post থানার সামনেই স্তূপীকৃত বর্জ্য, মালবাজারে ছড়াচ্ছে দূষণ appeared first on Sangbad Pratidin.