স্টাফ রিপোর্টার: নেমেছে পারদ। স্বস্তি এসেছে মধ্যবিত্তের পকেটে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীতের আগে নানা ধরনের সবজির চাষ হয়, সেই সবজি বাজারে আসতেই কমেছে দাম। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বাজারে দেখা মিলছিল ফুলকপি, বাঁধাকপির। তবে দাম ছিল চড়া। এখন এই দুই সবজির দাম কমেছে অনেকটা। দাম কমেছে টমেটোরও। গত মাসের শুরুতেই যে টমেটোর দাম ছিল ৮০ টাকা কেজি, সেই টমেটোর দাম এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। তা নিয়েই বৈঠক নবান্নে।
আজ অর্থাৎ সোমবার বিকেলে নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক। সেখানে আলোচনা হবে দাম নিয়ে। গোটা শীত জুড়েই যেন এমন দাম থাকে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সামনে সে মতামতই রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফেডারেশন অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, শীত আসায় নতুন সবজিতে ছেয়েছে বাজার। ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, বিট সবকিছুরই দাম কমেছে।
[আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের ছেলের জন্মদিন’, ফুটবল ক্লাবের অনুষ্ঠান নিয়ে ‘ভুল’ তথ্য শুভেন্দুর, পালটা কুণালের]
মানিকতলা থেকে গড়িয়াহাট, কোলে মার্কেট থেকে বাঘাযতীন খুচরো দাম অনুযায়ী ফুলকপি বিকোচ্ছে ১৫ টাকা প্রতি পিস। বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি। দাম কমেছে পিঁয়াজেরও। খুচরো বাজারে পিঁয়াজ এখন প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তবে শীতের কড়াইশুঁটি এখনও অমিল। কড়াইশুঁটির কচুরি ছ্যাঁকা দিচ্ছে গেরস্তের হাতে। এই মুহূর্তে কড়াইশুঁটি ১০০ টাকা প্রতি কেজির মিলছে না। যদিও এই অবস্থা বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেই জানিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।
ফেডারেশন অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের রবীন্দ্রনাথ কোলের কথায়, এখনও বাজারে বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা কড়াইশুঁটি রয়েছে। এর দাম আপাতত ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা প্রতি কেজি। আরেকটু শীত পড়লেই বাংলার দেশি কড়াইশুঁটি উঠবে। দাম তখন নামতে বাধ্য। বাঙালির হেঁশেলে ঝালে ঝোলে আলু মাস্ট। আলুর দামও গত দু’মাসের তুলনায় অনেকটাই কম। নতুন আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে অনেক জায়গাতেই। তবে কিছু ব্যবসায়ী দাম বেশি নিচ্ছে এমন অভিযোগ এসেছে। দ্রুত সে সমস্ত বাজারে অভিযান চালাবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।
এই মুহূর্তে শীতের নতুন কুমড়ো ৩০ টাকা কেজি। একই দামে বিকোচ্ছে পেঁপেও। তবে ঢ্যাঁড়শ আর ঝিঙের দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজির নিচে নামছে না। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীতের মরশুমে ঢ্যাঁড়শ ভাল হয় না। সে কারণেই ফি-শীতে ঢ্যাঁড়শের দাম সামান্য বেশিই থাকে।