সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয়ের (Meghalaya) বিজেপি (BJP) সহ-সভাপতি বার্নার্ড ম্যারাক (Bernard N Marak) তাঁর খামার বাড়িতে পতিতালয় চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই খামার বাড়ি থেকে ৭৩ জনকে হেফাজতে নেয়। তাদের মধ্যে অনেকেই নাবালিকা। এই ঘটনায় উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শোরগোল পড়ে যায়। মুখ পোড়ে মেঘালয় বিজেপির। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে। এদিন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাপুর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ‘পলাতক’ গেরুয়া নেতাকে।
২২ ফেব্রুয়ারি রাতে বার্নার্ড ম্যারাকের (Bernard Marak) রিম্পু বাগানের (Rimpu Bagan) খামার বাড়ি থেকে ২৬ জন নাবালিকা সহ ৭৩ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ গর্ভনিরোধক ওষুধ। বিভিন্ন ঘরে তালাবন্দি একাধিক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পরেই বিজেপি নেতা পলাতক হন বলে অভিযোগ। পুলিশের বক্তব্য, নেতাকে তদন্তের বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলা হলেও তিনি পুলিশকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে মেঘালয় পুলিশ। অন্যদিকে গতকাল মেঘালয়ের একটি আদালত জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এদিন উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলা থেকে মেঘালয়ের বিজেপি সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি: এখনই হস্তক্ষেপ নয়, জল মাপছে কেন্দ্র]
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি বার্নার্ড ম্যারাকের খামার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তখনই জানা যায়, ওই বাড়িতে একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপ চলে। যার অন্যতম মধুচক্র। খামার বাড়ি থেকে ৪৭ জন যুবক ও ২৬ জন নাবালিকাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। গ্রেপ্তারির সময় প্রত্যেকেই নেশাগ্রস্ত ছিল বলে দাবি পুুলিশের। অনেকের গায়ে সুতো ছিল না।
[আরও পড়ুন: সোনিয়াকে ৬ ঘণ্টা জেরা করেও সন্তুষ্ট নয় ইডি, ফের বুধবার দিতে হবে হাজিরা]
এছাড়াও বিজেপি নেতার রিম্পু বাগানের ওই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, ৫০০ প্যাকেট গর্ভনিরোধক ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। একটি পরিত্যক্ত নোংরা ঘর থেকে আরও পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪ জন ছেলে, ১ জন মেয়ে। উল্লেখ্য, মেঘালয়ের বর্তমান বিজেপি সভাপতি একসময় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২৫টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।