সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ার জমানায় রিলের নেশায় বুঁদ যুবসমাজ। স্বল্প দীর্ঘের ভিডিওতে বাহবা পাওয়ার আকাঙ্কায় জীবনকে খাদের কিনারায় দাঁড় করাতে দ্বিতীয়বার ভাবছে না নয়া প্রজন্ম। যার ফলও হচ্ছে মারাত্মক। এমন অদ্ভুত কাণ্ডকারখানার অসংখ্য 'নমুনা' চোখে পড়ে সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল আরও একদল যুবক। সস্তার বাহবা পাওয়ার নেশায় কুমির ভরা হ্রদে গাড়ি ও বাইক নিয়ে চলল 'স্টান্টবাজি'। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হল ২০ জনকে।
বন্যপ্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল রাজস্থানের আলোয়ার জেলায় অবস্থিত সিলিসার হ্রদ। অন্তত ৩০০টি কুমিরের স্বাভাবিক আবাসস্থল এই হ্রদ। পর্যটকদের জন্যও বেশ জনপ্রিয়। সেখানেই দামি বাইক ও গাড়ি নিয়ে পৌঁছয় একদল যুবক। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাদার মধ্যে বাইক ও গাড়ির তীব্র আওয়াজ শুনে ছুটে জলে নেমে যাচ্ছে কুমিরের দল। তবে ভয় পাওয়া তো দূর তাদের তাড়া করেই হ্রদের অগভীর অংশে নেমে পড়ে ওই যুবকদের বাইক। জলের মধ্যেই চলতে থাকে 'স্টান্টবাজি'। বাইকের পাশাপাশি গাড়ি নিয়েও হ্রদের মধ্যে 'স্টান্ট' করতে দেখা যায় অভিযুক্তদের।
[আরও পড়ুন: কেজরির জামিন মামলা, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রসঙ্গ তুলে সরব আইনজীবী]
এই ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। ভিডিও-র সূত্র ধরে গত ২ দিনে মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ এর মধ্যে। পাশাপাশি তাঁদের এসইউভি গাড়ি ও ভিডিওতে ব্যবহার করা প্রতিটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকে বরোদার সরখা কালা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তরা ওই হ্রদে প্রবেশ করেছিল অন্য একটি রাস্তা ধরে যেখানে সাধারণ পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে।
[আরও পড়ুন: তীব্র গরমের পর বেলাগাম বৃষ্টি, বানভাসি উত্তরপ্রদেশের বহু জেলা]
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আলোয়ার জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ শর্মা বলেন, 'সিলিসার হ্রদ বা নাতনি কাবাড়া অঞ্চলে রিল বানানো যুবকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এরা শুধু বন্যপ্রাণীদের সমস্যা করে না। একইসঙ্গে সেখানে আসা অন্যান্য পর্যটকদের কাছেও বিরক্তির কারণ।' অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই অঞ্চলে যাতে দ্বিতীয়বার এই ধরনের স্টান্ট কেউ করতে না পারে সে কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাস্তা।