সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়! জনপ্রিয় এই প্রাচীন প্রবাদটি বদলে দিল মধ্যপ্রদেশের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। উলটো-পালটা কথা বলার বদলে চিকিৎসকের চেয়ারে বসে ২০ জন রোগীকে দেখল সে। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার সকালে প্রচণ্ড ভিড় হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। অন্যদিকে হাসপাতালের আউটডোরের ২০ নম্বর ঘরের সামনে প্রচুর রোগী লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. হিমাংশু ছিলেন না। সেই সুযোগে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি চেম্বারে ঢুকে তাঁর চেয়ারে বসে পড়ে। তারপর নিজেকে এইমস (AIIMS) হাসপাতালের চিকিৎসক বীর বাহাদুর বলে পরিচয় দেয়। একে একে ২০ জন রোগীকে দেখে বিভিন্ন ওষুধও লিখে দেন।
[আরও পড়ুন: প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না ‘জাতীয়তাবাদ’, অনুগামীদের নির্দেশ মোহন ভাগবতের]
প্রথমে বিষয়টি জানতে না পারলেও কিছুক্ষণ বাদে ড. হিমাংশু নিজের চেম্বারে প্রবেশ করতেই সব কথা প্রকাশ্যে এসে পড়ে। জানা যায়, এতক্ষণ চিকিৎসকের চেয়ারে বসে যে রোগী দেখছিল সে নিজেই একজন মানসিক রোগী। তাকে জেরা করলে সে জানায়, চিকিৎসকের চেম্বারে কেউ ছিল না। এদিকে বাইরে প্রচুর রোগী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে সে রোগী দেখছিল।
[আরও পড়ুন: জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ পড়ুয়াকে সমন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকল দিল্লি পুলিশ]
প্রথমে ওই চিকিৎসকের বিষয়ে কিছু বুঝতে পারেননি ২০ নম্বর চেম্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর আত্মীয়রা। পরে ঘটনাটি জানাজানি হতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। কীভাবে একজন মানসিক রোগী চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে তাঁর চেয়ারে বসে রোগী দেখছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পরে এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। এর ভিত্তিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
The post ডাক্তারের চেম্বারে বসে চিকিৎসায় ব্যস্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, হতবাক রোগীর আত্মীয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.