সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেমস ক্যামেরনের ‘অবতার’ সিনেমাটার কথা মনে পড়ছে নিশ্চয়ই? সব চরিত্রের গা থেকে কেমন নীলচে আভা বেরত? তেমনই ঘন নীল আভা এবার দেখা গেল আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতে। অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এটাই সত্যি। ইন্দোনেশিয়ার কাওয়া ইজেন (Kawah Ijen) আগ্নেয়গিরির এই দৃশ্যে একেবারে স্তম্ভিত নেটিজেনরা। যাঁর ক্যামেরায় এমন বিরলের মধ্যে বিরলতম দৃশ্য ধরা পড়ছে, প্যারিসের সেই ফটোগ্রাফারের মুগ্ধতাও যেন কাটতে চাইছে না। এমনই ভয়ংকর সুন্দর সে দৃশ্য!
আগ্নেয়গিরির গহ্বর থেকে প্রবল শক্তি নিয়ে বেরিয়ে আসছে গনগনে লালচে লাভাস্রোত – এটাই চিরপরিচিত দৃশ্য। কিন্তু লকডাউনের প্রকৃতি যেন অন্যরকমভাবে সেজে উঠেছে। তাই আগ্নেয়গিরিরও সম্পূর্ণ নতুন রূপ সামনে এসেছে। ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি কাওয়া ইজেন দেখাল তার নবরূপ। এখানকার জ্বালামুখ থেকে বেরনো লাভাস্রোতের রং বিদ্যুৎনীল। সূর্যাস্তের পর আগ্নেয়গিরির এই বিদ্যুৎনীল আভার পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ার দৃশ্য চাক্ষুষ করে নেটিজেনদের অনেকেই নির্বাক। বিস্ময়প্রকাশের ভাষা যেন খুঁজে পাচ্ছেন না। আঁধার রাতে দূর থেকে এই নীলচে আভা ঠিক যেন মনে করিয়ে দেয় ক্যামেরনের ‘অবতার’-এর দৃশ্যগুলো। কেউ কেউ আবার বলছেন, ভয়ংকর, কিন্তু অতীব সুন্দর!
[আরও পড়ুন: মানুষ খুনের সাজা! ভাড়াটে শিকারির গুলিতে খতম বদ্রিনাথের ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘ]
তবে কাওয়া ইজেনের এই নীলাভ লাভাস্রোতকে ঠিক ‘লাভা’ হিসেবে বলতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। এই বিদ্যুৎনীলের রহস্যভেদ করতে গিয়ে তাঁরা রাসায়নিক বিক্রিয়ার সন্ধান পেয়েছেন। বলা হচ্ছে, আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে প্রচুর পরিমাণ সালফিউরিক অ্যাসিড (Sulfuric acid) বেরিয়ে তা বায়ুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করছে। আর তাতেই এমন অপূর্ব রঙের সৃষ্টি। প্যারিসের ফটোগ্রাফার এই আগ্নেয়গিরির কয়েকটি ছবি তুলেছেন। ছবিগুলো ভালভাবে বিশ্লেষণ করে বেরিয়ে এসেছে রসায়নের এই তত্ব। আর তাঁর হাত ধরেই আপাতত নেটদুনিয়ায় ভাইরাল এসব বিরল ছবি।
[আরও পড়ুন: ‘কিউরিওসিটি’র পর মঙ্গলে নাসার রকেট ‘পারসিভিয়ারেন্স’, কৌতূহল নিরসন করবে অধ্যবসায়]
তবে সাধারণ জনতা এই রসায়নের গূঢ় তত্ব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন। তাঁদের চোখে লেগে রয়েছে আগ্নেয়গিরির অপূর্ব নীল দৃশ্য। প্রকৃতির সৌন্দর্যের তুলনা যে একমাত্র প্রকৃতিই।
The post গনগনে লাল নয়, আগ্নেয়গিরির গহ্বর থেকে বিদ্যুৎনীল লাভা! ভয়ংকর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা appeared first on Sangbad Pratidin.