সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিলে গেলেন মেসি আর ইয়ামাল! দুদেশের দুই তারকাকে মিলিয়ে দিল একটা গোল। মিলিয়ে দিল একটা ছবি।
ইউরোতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে শেষচারের ম্যাচে গোল করেন ইয়ামাল। বুধসকালে কোপায় প্রথম গোল পেলেন আর্জেন্টিনাইন মহাতারকা মেসি।
[আরও পড়ুন: গোলে ফিরলেন মেসি, নীল-সাদা ঝড়ে উড়ে গেল কানাডা, কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা]
মেসি এবং ইয়ামাল গোল করলেন দুটি ভিন্ন টুর্নামেন্টে। এত পর্যন্ত পড়ার পরে অনেকেরই মনে হতে পারে, দুদেশের দুই ফুটবলারের মধ্যে মিল কোথায়। তাঁদের দুজনের কথা বলাই বা হচ্ছে কেন!
সম্প্রতি মেসির সঙ্গে এক শিশুর ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি শিশুকে বাথটবে বসিয়ে স্নান করাচ্ছেন বছর কুড়ির মেসি। মেসির কোলের ওই শিশুটিই আজকের ইয়ামাল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মেসি-ইয়ামালের এই ছবিটি নিয়েই চর্চা চলছে। ইউরোর ময়দানে ফুল ফোটাচ্ছেন ইয়ামাল। আর মেসি নিজের স্বমহিমায় এখনও ধরা দেননি কোপার মাঠে। তবে ফাইনালের আগে গোল করে আর্জেন্টাইন ভক্তদের স্বস্তি এনে দিয়েছেন তিনি।
একসময়ে বার্সেলোনার জার্সিতে মেসি বিশ্বফুটবলকে সম্মোহীত করেছেন। বার্সার হয়ে আলো ছড়ানোর পরে ইউরোয় এখন ইয়ামাল রীতিমতো আলো শুষে নিচ্ছেন। যে ক্লাব একসময়ে ছিল মেসির যৌবনের উপবন, সেই ক্লাবের হয়ে এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ইয়ামাল। দুই তারকার দেখা হয়েছিল সেই ২০০৭ সালে। সেই সময়ে কি মেসি নিজেও জানতেন, এই শিশুই বড় হয়ে বল পায়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাবেন!
ইয়ামালের বাবা মৌনির নাসরাউই গত সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন মেসি ও ইয়ামালের ছবি। ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'দ্য বিগিনিং অফ টু লিজেন্ডস।' আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, কয়েকমাস বয়সের ইয়ামাল প্লাস্টিকের বাথটবে রয়েছে। হাসিমুখে থাকা মেসি শিশু ইয়ামালের হাত ধরে রয়েছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইয়ামালের মা।
ফটোগ্রাফার জোয়ান মনফোর্ট সেই ছবি তোলেন। ভিতরের গল্প বলেন তিনি। মনফোর্ট বলেন, বার্সেলোনার ফুটবলাররা স্থানীয় সংবাদপত্র দিয়ারিও স্পোর্ট এবং ইউনিসেফের বার্ষিক চ্যারিটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে শিশু ইয়ামাল এবং তার পরিবারের সঙ্গে ছবি তুলেছিল। শুটিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন মনফোর্ট। তিনি বলেন, শিশু ইয়ামালকে কীভাবে ধরতে হবে, সেটা প্রথমে জানতই না মেসি। ও খুব অন্তর্মুখী স্বভাবের। লাজুক প্রকৃতির। এক লকার রুম থেকে বেরিয়ে আরেক লকার রুমে ঢুকতে হয়েছিল মেসিকে। সেই লকার রুমে একটা বাথটবের মধ্যে ছিল শিশু ইয়ামাল। মেসির জন্য ব্যাপারটা খুবই কঠিন ছিল।''
মেসি তখন সদ্য কৈশোরে। ফুটবল দুনিয়া জয় করার দৌড় শুরু করেছেন। ঠিক আজকের ইয়ামালের মতোই। তখন কে আর জানতেন মেসি আর শিশু ইয়ামালের এই ছবিটাই ফুটবলবিশ্বে চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
ইউরোর শেষ চারের লড়াইয়ে ইয়ামাল স্পেনকে ফাইনালে পৌঁছতে সাহায্য করেছেন। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোলের পরে সবার শ্বাসপ্রশ্বাসে ইয়ামাল। আর কোপার সেমিফাইনালে কানাডার বিরুদ্ধে কাঙ্খিত গোল পান মেসি। চলতি কোপায় গোলের রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। ফাইনালের আগে মেসি গোল পাওয়ায় স্বস্তিতে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।