নব্যেন্দু হাজরা: হাওয়া অফিসের (Regional Meteorological Centre, Kolkata) পূর্বাভাস সত্যি করে ষষ্ঠীর রাতেই বৃষ্টিতে ভিজেছে তিলোত্তমা-সহ রাজ্যের প্রায় সবক়টি জেলা। সপ্তমীর (Durga Puja 2020) সকালেও কলকাতার আকাশের মুখভার। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। ছাতা হাতেই মণ্ডপে হাজির হয়েছেন অনেকে। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা দুপুরের পর থেকে ঝোড়ো হাওয়া লণ্ডভণ্ড করতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মণ্ডপ। ভারী বৃষ্টিতে জল জমতে পারে খাস কলকাতায়। তবে কি করোনা বিধি মেনে যেটুকু প্রতিমা দর্শনের প্ল্যান ছিল, আদতেই তা-ও পণ্ড হতে চলেছে? এই প্রশ্নই ঘুরছে আমজনতার মাথায়।
মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আগেই পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। বলা হয়েছিল, ষষ্টী-সপ্তমী প্রবল বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপের অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। পরে তা অভিমুখ পরিবর্তন করে। আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোতে থাকে। যত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি আসে ততই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে থাকে। এর জেরেই এদিন বৃষ্টির পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল সম্ভাবনাও প্রবল।
[আরও পড়ুন: দৈনিক করোনা সংক্রমণে রাজ্যে ফের রেকর্ড, মহাষষ্ঠীতেও আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা]
সমু্দ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা করেই ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সপ্তমী ও অষ্টমীতে সুন্দরবনের ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পর্যটকদের জন্যও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। দিঘা, মন্দারমণি, সাগর, বকখালি সমুদ্র তটে পর্যটকদের সমুদ্রের ধারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এদিন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলের বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।